Total Pageviews

Saturday, October 1, 2011

ত্বকের চিকিৎসায় লেজার রশ্মি

by লুৎফুন নাহার
লেজার কী
লেজার হচ্ছে বিশেষ এক ধরনের আলোকরশ্মি, যা ত্বকে প্রবেশ করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় পরিবর্তন ঘটায়।
কীভাবে কাজ করেঃ সূর্যের আলোকরশ্মিকে কতগুলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে (ওয়েভলেন্‌থ) ভাগ করা হয়। ত্বকে লেজার চিকিৎসার জন্য লক্ষ্যবস্তুর শোষণের ধরনের সঙ্গে মিলিয়ে নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে নির্ণয় করা হয়। উদ্দেশ্য এমন একটি ওয়েভলেন্‌থ পাঠানো, যা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু দ্বারা শোষিত হবে। ফলে তাপ জমা হয়ে লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করবে। এই লক্ষ্যবস্তুকে বলা হয় ক্রোমোফোর, ত্বকে যা পানি, হিমোগ্লোবিন ও মেলানিন হিসেবে উপস্থিত থাকে। আদর্শগতভাবে এই নির্দিষ্ট ওয়েভলেন্‌থে পার্শ্ববর্তী কোনো সুস্থ বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। দক্ষ লেজার শল্যবিদ সময় ও শক্তি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আশপাশের বস্তুর সামান্যতম ক্ষতিও রোধ করতে পারেন। লেজার শুধু চেহারার সৌন্দর্য বাড়ানোই নয়, বরং হ্যারপিও ও মস্তিষ্কের চিকিৎসা, জরায়ুর টিউমার, চোখ ও দাঁতের অসুখ, নাকডাকা ও টনসিল ফোলা, সর্বোপরি ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। শ্বাসনালি, খাদ্যনালি, মূত্রনালির বিভিন্ন অসুখে এবং হাড়ের সমস্যায় লেজার এখন নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে।
লেজারের মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ মুখের বলিরেখা দূর করে হারানো সৌন্দর্য ফিরে পাওয়ার জন্য ফটো রেজুভেনেশন করা হচ্ছে। এভাবে ব্রণের দাগ, বসন্তের দাগ এবং রোদে পোড়া দাগ দূর করা যায়। যেকোনো বয়সের লোকই এখন ত্বকের জৌলুশ বাড়াতে লেজারের সাহায্য নিতে পারেন। সাধারণত প্রতিমাসে একবার করে কয়েক মাস পর্যন্ত রোগের প্রকারভেদে সমস্যা সেরে ওঠা পর্যন্ত লেজার চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জন্মদাগ সারাতে লেজারঃ জন্মদাগ সারাতে লেজার বেশ সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। একদম ছোট শিশুকেও লেজার চিকিৎসা দেওয়া যায় এবং কয়েক মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে এসব দাগ মিলিয়ে যায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ লেজার খুব উন্নত ধরনের এক চিকিৎসাপদ্ধতি, কিন্তু অন্যান্য শল্যচিকিৎসার মতো এখানেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নির্ভর করে লেজার শল্যবিদের দক্ষতা, রোগীর শরীরের অংশ এবং ত্বকের ধরনের ওপর। লালচে হওয়া, ফুলে ওঠা, ত্বক কোঁচকানো কিংবা প্রদাহোত্তর দাগ দেখা দিতে পারে। কালো ত্বকের রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা দেখা দেয়।
সতর্কতাঃ চোখে লেজার রশ্মি যাতে না লাগে, সে জন্য রোগীর চোখে আইশিল্ড লাগিয়ে এবং সার্জনের চোখে নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে গগল্‌স পরতে হয়। চিকিৎসা শুরুর আগেই রোগীকে লেজারের ফলাফল, সুস্থতা ও স্বাভাবিক চেহারা ফিরে পেতে এবং পুনরায় কাজে ফিরে যেতে কেমন সময় লাগবে, কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে বুঝিয়ে বলা দরকার।
original post

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Facebook Themes