tag:blogger.com,1999:blog-70678239678727582712024-03-13T10:19:33.917-07:00আমার স্বাস্থ্যএকটি সম্পূর্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্লগ.....মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.comBlogger94125tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-63826289533477524092012-03-14T00:19:00.000-07:002012-03-14T00:19:34.967-07:00নতুন নতুন রোগবালাই<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="alternativeCol justify cb oH mb10"> <div class="fL detailGallery twoCol mr20 mb10"> <div class="mb10"> <img alt="জলবায়ুর পরিবর্তন, জীবনাচার ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর জীববৈচিত্র্য পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/03/13/2012-03-13-16-23-30-4f5f74824200e-1.jpg" /> জলবায়ুর পরিবর্তন, জীবনাচার ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর জীববৈচিত্র্য পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন রোগবালাইয়ের উদ্ভব ঘটছে। কিছু কিছু রোগের পুনরাবির্ভাব ঘটছে<br />
</div></div><div id="content" style="font-size: 18px; line-height: 24px;">সহকারী অধ্যাপক, রোগতত্ত্ব বিভাগ, নিপসম।<br />
<br />
বদলাচ্ছে পরিবেশ, বদলাচ্ছে জীবনাচার; বদলেযাচ্ছে রোগবালাইয়ের ধরন। আবির্ভাব-পুনরাবির্ভাব ঘটছে নতুন নতুন রোগবালাইয়ের। বাড়ছে জনস্বাস্থ্য ব্যয়।দৈনন্দিন জীবনে আচরণ না পাল্টালে জনস্বাস্থ্য-সুরক্ষা দুরূহ হয়েযাবে। নতুন নতুন রোগবালাই প্রতিরোধে জীবনাচার বদলানো জরুরি।<br />
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাচ্ছে রোগবালাইয়ের ধরন। সামগ্রিকভাবে গোটা দুনিয়ায় কমছে সংক্রামক রোগ আর বাড়ছে অসংক্রামক রোগবালাই। জলবায়ুর পরিবর্তন, জীবনাচারে পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন আর জীববৈচিত্র্যের পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন রোগবালাইয়ের উদ্ভব ঘটছে। কিছু কিছু রোগের পুনরাবির্ভাব ঘটছে। <br />
আসছে নতুন নতুন ভাইরাস<br />
জনস্বাস্থ্যের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন অণুজীবের কারণে মহামারি দেখা দিয়েছে; বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে নভেল (আগেছিল না এমন) ভাইরাসের উদ্ভব জন্ম দিয়েছে নতুন নতুন রোগের। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিশ্ববাসী তথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব নতুন (ইমার্জিং) এবংপুনরাবির্ভূত (রি-ইমার্জিং) রোগবালাই নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশেজনসংখ্যা এবংঘনবসতির কারণে এ ধরনের নতুন নতুন ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই আসন গেড়ে বসতে পারে। <br />
প্রাণীবাহিত রোগ<br />
জুনুটিক ডিজিজ। গোটা দুনিয়ায় জনস্বাস্থ্যেরক্ষেত্রে জুনুটিক ডিজিজ বা প্রাণীবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব হরহামেশাই ঘটছে। আমাদের দেশে সাম্প্রতিক সময়ে অ্যানথ্রাক্স নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়েছে। সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ায় এটি পশু থেকে মানুষে ছড়াতে পারেনি তেমনভাবে। <br />
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তোলপাড় হয়েছেফ্লু মহামারি নিয়ে। এইচফাইভএনওয়ান কিংবা এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাসজনিত বার্ড ফ্লু এবংসোয়াইন ফ্লু নিয়ে গোটা বিশ্বে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে ছিল। আগাম সতর্কতা, জনস্বাস্থ্যের রোগ-নিরীক্ষণ এবংআন্তর্জাতিক উদ্যোগের কারণে এগুলো অতীতের মতো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রের বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবংএ বিষয়ে কর্মরত প্রতিষ্ঠানগুলোর (যেমন, আইইডিসিআর) সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। <br />
নতুন নতুন ফ্লু<br />
পাল্টে যাচ্ছে ভাইরাস জ্বর।ভাইরাসের ধর্মই হচ্ছে প্রতিনিয়ত এর চরিত্র বদল, আদল পরিবর্তন। ফলে ঋতু পরিবর্তনের সময়নিত্যনতুন ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে; কখনো ছড়ায় প্রাণীর মাধ্যমে, কখনো বাতাসে। সিজনাল ফ্লু প্রতিরোধে উন্নত বিশ্বে টিকার ব্যবস্থা রয়েছে। বছরে একবার এই টিকা নিলে ঋতুভিত্তিক ফ্লুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশেব্যাপকভাবে এর প্রচলন নেই। তাই আমাদের প্রতিরোধবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে হবে।<br />
ফ্লু প্রতিরোধে<br />
হাঁচি-কাশিতে ছড়ায়। তাই হাঁচি-কাশির সময়হাতের কনুই উঁচু করে মুখ-নাক ঢাকতে হবে।আর সম্ভব হলে দিনে চার-পাঁচবার দুই হাত উভয়দিকে সাবান দিয়ে ভালোভাবে ফেনা তুলে ধুতে হবে। একই টিস্যু কয়েকবার ব্যবহার না করা বা রুমাল প্রতিদিন গরম পানিতে ধোঁয়ার মতো ছোট ছোট আচরণ পরিবর্তন করলে অনেক সাধারণ রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। <br />
ভেক্টরবাহিত রোগ: চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু, কালাজ্বর<br />
মশা-মাছি দিয়ে ছড়ানো এই রোগগুলো বাড়ছে, দেখা দিচ্ছে নতুন করে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে আমাদের দেশে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। নগরায়ণের ফলে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি বেড়ে গিয়ে এর প্রাদুর্ভাব ঘটে।শুরুর দিকে এর চিকিৎসা-ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট আপ-টু-ডেট না থাকায় কিছু প্রাণহানিও ঘটে। পরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় এটি অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এর প্রকোপ না কমলেও চিকিৎসা-ব্যবস্থাপনার মান বেড়েছে। ডেঙ্গুর পর সাম্প্রতিক সময়ে আরেকটি মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে, যার নাম—চিকুনগুনিয়া। <br />
বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতে এর প্রাদুর্ভাব ছিল; আমরা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছিলাম, এটি বাংলাদেশেও ঢুকবে। দুই বছর ধরে চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন এমন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একইভাবে বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে কালাজ্বরের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ত্রিদেশীয় উদ্যোগে এই অঞ্চল কালাজ্বরমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মাটির ঘরের বেলেমাছি কালাজ্বর ছড়ায়। এতে যকৃৎ (লিভার) ও প্লীহা (স্প্লিন) বড় হয়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসায় রোগ ভালো হয়।<br />
ভেক্টর প্রতিরোধে<br />
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশা প্রতিরোধ করতে হবে। জমে থাকা পরিষ্কার পানি কিংবা নর্দমার পানিতে প্রতিনিয়তই স্প্রে করতে হবে। যে এলাকায় রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে, সেই এলাকায় ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিতে হবে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য। কালাজ্বর প্রতিরোধে রোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে মাটির দেয়ালের বা মাটির মেঝের বাড়িগুলোতে মাটি থেকে ছয়ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ওষুধ স্প্রে করে বেলেমাছি নির্মূল করতে হবে।<br />
এমডিআর যক্ষ্মা<br />
যক্ষ্মার চিকিৎসা আছে সম্পূর্ণভালো হওয়ার। তবু যক্ষ্মা বাড়ছে নতুন ধরনের। সময়মতো ওষুধ না খাওয়া এবংঅসম্পন্ন চিকিৎসার জন্যমাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট বা এমডিআর যক্ষ্মার প্রকোপ বাড়ছে। <br />
পুরো কোর্স সম্পন্ন না করে ওষুধ ছেড়ে দেওয়ার ফলেএই যক্ষ্মা পুনরায় দেখা দিচ্ছে। এতে চিকিৎসা ব্যয়বেড়ে যাচ্ছে এবংওষুধের কার্যকারিতাও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। <br />
এমডিআর প্রতিরোধে<br />
যক্ষ্মার ওষুধগুলো নিয়মিত, সময়মতো পুরো কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। যদি কেউ মাঝপথে ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েথাকেন, তাহলে অতিসত্বর পুনরায় চিকিৎসা শুরু করতে হবে। <br />
বাড়ছে এনসিডি বা অসংক্রামক রোগ<br />
নন-কমিউনিক্যাবল ডিজিজ বা অসংক্রামক রোগ বাড়ছে বাংলাদেশেও। কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়া, দ্রুত নগরায়ণ, পরিবেশদূষণ এবংতেল-চর্বিজাতীয় খাবারে আসক্তির কারণে এনসিডি বেড়ে যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হূদেরাগ, আর্সেনিকোসিস, হাইপারলিপিডেমিয়া, শ্বাসনালির বিভিন্ন রোগ, মনোবৈকাল্য, মনোসামাজিক চাপ ইত্যাদি রোগবালাই ও স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিনিয়তই বাড়ছে।ভবিষ্যতে এ নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে রইল।<br />
প্রয়োজন স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ<br />
মানুষ বাড়ছে, পরিবেশ পাল্টাচ্ছে। রোগবালাই বাড়ছে, অণুজীবের ধরন পাল্টাচ্ছে। নগরায়ণ বাড়ছে, জীবনযাত্রার ধরন পাল্টাচ্ছে। এখন আমরা যদি আমাদের আচরণ না পাল্টাই, চারপাশের পরিবেশকে স্বাস্থ্যবান্ধব না করি, তবে নিত্যনতুন রোগবালাই আমাদের ভোগাবে। বাড়ছেস্বাস্থ্য ব্যয়;বাড়বে বৈকল্য। আসুন, আচরণ পাল্টাই পরিবেশ রক্ষায়, নিজেদের রক্ষায়। প্রথম আলোর ‘বদলে যাও, বদলে দাও’ স্লোগান সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যের সুরক্ষায়।</div></div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-38161288428976911522012-03-14T00:15:00.002-07:002012-03-14T00:15:46.151-07:00কামরাঙার কিছু কথা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="alternativeCol justify cb oH mb10"> <div class="fL detailGallery twoCol mr20 mb10"> <div class="mb10"> <img alt="" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/03/13/2012-03-13-16-24-09-4f5f74a96a05a-4.jpg" /> </div></div><div id="content" style="font-size: 18px; line-height: 24px;">এই সময়ের দৃষ্টিনন্দন ফল কামরাঙা। ভিটামিন সি-তে পূর্ণ কামরাঙা। কাজ করে চুল, ত্বক, নখ ও দাঁতের ওপর। গবেষণা করে দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ভরা পেটে (অবশ্যই যাঁদের কিডনির কোনো অসুখ নেই) কামরাঙা খান, তাঁদের চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বল, ভঙ্গুরহীন হয়। সমসাময়িক সংক্রামক রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কামরাঙা। অতিরিক্ত মোটা মানুষের দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এই ফল। তবে কিডনিতে পাথর, ইনফেকশন রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য এই ফল পরিহার করা উচিত সম্পূর্ণভাবে। আবার যাঁদের দীর্ঘ বছর ধরে ডায়াবেটিস, মোটার অসুখ রয়েছে ও হার্ট দুর্বল, তাঁদের জন্যও এই ফল বর্জনীয়। তাই বলে কামরাঙা পুষ্টিহীন এমন নয়। এতে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন এ এবং সি। বাড়ন্ত শিশুদের জন্য, খেলোয়াড়, অ্যাথলেটদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপকারী। কামরাঙায় নেই কোনো চর্বি বা ফ্যাট। তাই এই ফল খেলে রক্তে চিনি বা চর্বি বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই। এতে যে আঁশ রয়েছে তা কোষ্ঠকাঠিন্য, পাকস্থলীর ক্যানসার দূর করে। অতিরিক্ত টক লাগলে ডাল বা তরকারির সঙ্গে রান্না করে খেতে পারেন। তবে কোনো অবস্থাতেই কেউ এই ফল খালি পেটে খাবেন না। <br />
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই ফল ব্রণ হওয়ার পরিমাণ কমায়। এতে বিদ্যমান খনিজ লবণগুলো দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। কিছু পরিমাণ জিংকও রয়েছে এতে। তবে অতিরিক্ত টক হওয়ার জন্য ডায়রিয়া চলাকালে বা ডায়রিয়া ভালো হওয়ার পরপরই এই ফল খাবেন না।<br />
ফারহানা মোবিন prothom-alo</div></div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-89145740039015608782012-03-13T23:57:00.000-07:002012-03-13T23:57:13.935-07:00খাওয়ায় সহজ পরিবর্তন হূদেরাগের ঝুঁকি কমায়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="alternativeCol justify cb oH mb10"> <div class="fL detailGallery twoCol mr20 mb10"> <div class="mb10"> <img alt="পাতে লবণ খাওয়া এখনই ছেড়ে দিন, উচ্চ রক্তচাপ ও হূদেরাগের ঝুঁকি কমবে" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/03/13/2012-03-13-16-23-48-4f5f749418fab-2.jpg" /> পাতে লবণ খাওয়া এখনই ছেড়ে দিন, উচ্চ রক্তচাপ ও হূদেরাগের ঝুঁকি কমবে<br />
<div class="small ash">ছবি: খালেদ সরকার</div></div></div><div id="content" style="font-size: 18px; line-height: 24px;">পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম হাসপাতাল, সাম্মানিক অধ্যাপক ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।<br />
<br />
হূদেরাগ এখন সমস্যা পৃথিবীজুড়ে। উন্নয়নশীল দেশেও এটি বড় সমস্যা। সবচেয়ে সচরাচর হূদেরাগ হলো করোনারি হূদেরাগ এবং এ থেকে হার্ট অ্যাটাক। তবে সুসংবাদ হলো, জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে, হূদ্স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে আমরা অনেক কমিয়ে আনতে পারি করোনারি হূদেরাগের ঝুঁকি।<br />
লবণঝাঁকুনি ঝেড়ে নুন খাওয়া ছাড়ুন <br />
শিল্পোন্নত দেশ, যেমন—আমেরিকায় প্রতিদিন লোকজন তিন হাজার ৫০০ গ্রাম নুন অবলীলায় খাচ্ছেন: এর তিন-চতুর্থাংশ আসে প্রক্রিয়াজাত খাবার ও রেস্তোরাঁর খাবার থেকে। সে দেশের ন্যাশনাল হার্ট ও লাং ইনস্টিটিউট বলছে, নুন খাওয়া অর্ধেকে নামিয়ে আনলে প্রতিবছর হূদেরাগ ও রক্তনালি রোগে দেড় লাখ মৃত্যু ঠেকানো যাবে।<br />
সোডিয়াম গ্রহণ কমাতে হলে এর বদলে খেতে হবে ফল, সবজি, লো-ফ্যাট দুধজাত খাবার। আমাদের দেশেও ফাস্টফুড, রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়া বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে, তাই সাবধান হওয়া উচিত অবিলম্বে।<br />
যোগ করুন হূদ্স্বাস্থ্যকর চর্বি<br />
মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওমেগা-৩ মেদঅম্লসমৃদ্ধ খাবার খেলে কমে আসে রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড। খুব উঁচু মাত্রায় ওমেগা-৩ মেদঅম্ল আছে শীতল পানির মাছ, যেমন—বুনো স্যামন মাছ, ম্যাকরিল, সার্ডিনস, হেলিবাট বা হেবিং। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ: প্রতি সপ্তাহে মাছের অন্তত দুটি সার্ভিং।<br />
তাই মাছ খান স্বচ্ছন্দে। মাছে-ভাতে বাঙালি। সামুদ্রিক মাছ, মিঠা পানির মাছ যা-ই হোক। মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট খেলে দেখা যায় কমে হূদ্ক্ষতিকর এলডিএল, বাড়ে হূদিহতকর এইচডিএল। এই ফ্যাটের ভালো উৎস হলো অ্যাভোকেডো, বাদাম, বাদাম মাখন, জলপাই তেল।<br />
যোগ করুন বেশি বেশি আঁশ<br />
প্রতিদিন ৩৫-৪০ গ্রাম আঁশ হবে লক্ষ্য। আঁশ কমায় কোলেস্টেরল: একসঙ্গে বন্ধনাবদ্ধ হয়ে নিষ্ক্রান্ত করে শরীর থেকে। কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে, যাঁদের খাবারে নিয়মিত আঁশ থাকে, তাঁদের এলডিএল কমে যায় ২৫ শতাংশ। আঁশ খেলে ওজন হ্রাসেও বেশ সুবিধা হয়, আঁশসমৃদ্ধ খাবার পেট ভরাট করে সহজে, তাই দিনে কম খেলেও তৃপ্তিসুখ মেলে কম সময়েই।<br />
মসলা যোগ করুন আনন্দে<br />
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে মসলা যোগ করলে তা হূদিহতকর। লঙ্কা বেশ মজবুত করে হূদ্যন্ত্রকে। ধমনি ও কৈশিকাকেও। কমায় কোলেস্টেরলও। জার্নাল অব ডায়াবেটিস কেয়ার-এ প্রকাশিত নিবন্ধে দেখানো হয়েছে, অর্ধেক চা-চামচ দারচিনি প্রতিদিন কমায় এলডিএল কোলেস্টেরল। অনেক লতাগুল্মে আছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ধনেপাতা, মেথিশাক, পুদিনাপাতা, আমেরিকার ওমেগানো এসব বেশ সমৃদ্ধ। রসুন খেলে কমে রক্তের কোলেস্টেরল। আদা হলো রক্তকে পাতলা করার ওষুধ, প্রদাহরোধীও বটে।<br />
বেছে নিন খাদ্য, যাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট<br />
হূদ্সুস্বাস্থ্যনির্ভর করে উন্মুক্ত, নমনীয় ধমনির ওপর, যেগুলো দিয়ে দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে রক্ত। গাঢ় চকলেট, কোকো, উদ্ভিজ্জ, যেমন—রেড ওয়াইন ও সবুজ চা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। রক্তস্রোতে মুক্তমূলকদের এটি ক্ষতি রোধ করে। prothom-alo</div></div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-38280239056933057462012-03-13T23:50:00.002-07:002012-03-13T23:50:37.270-07:00মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="alternativeCol justify cb oH mb10"> <div class="fL detailGallery twoCol mr20 mb10"> <div class="mb10"> <img alt="বিব্রত হওয়ার কিছু নেই, যথাযথ চিকিত্সায় এ ধরনের সমস্যায় প্রতিকার পাওয়া যায়" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/03/13/2012-03-13-16-24-00-4f5f74a09c52f-3.jpg" /> বিব্রত হওয়ার কিছু নেই, যথাযথ চিকিত্সায় এ ধরনের সমস্যায় প্রতিকার পাওয়া যায়<br />
</div></div><div id="content" style="font-size: 18px; line-height: 24px;">হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল।<br />
<br />
মেয়েটির আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা। কালো হিজাবের মধ্যে সুন্দর টানা টানা চোখ কেবল দেখা যায়। বয়স ১৫ কি ১৬। মুখের কাপড় সরাতে এই কঠিন পর্দার কারণটা বোঝা গেল। মেয়েটির ঠোঁটের ওপর, চিবুক, কপাল ও জুলপির কাছে ঘন লোমের রেখা; উঠতি বয়সের ছেলেদের যেমনটা দেখা যায়। এর জন্য বন্ধুবান্ধব, সহপাঠী, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে নিশ্চয় অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে তাকে। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই তার এই মুখ ঢেকে চলা; স্বীকার করল মেয়েটি ছলছল চোখে। সঙ্গে রয়েছে আরেক উপদ্রব—অনিয়মিত মাসিক। এক মাস হয় তো দুই মাস হয় না। বাড়িতে মা দুশ্চিন্তায় অস্থির। শেষ পর্যন্ত দূর-সম্পর্কের এক চিকিৎসক-আত্মীয়ার সঙ্গে কথা বলে মা বুঝেছেন যে হরমোনের সমস্যার কারণে মেয়েদের এসব সমস্যা দেখা দেয়। আর এর সুনির্দিষ্ট সহজ চিকিৎসাও আছে।<br />
অবাঞ্ছিত লোম: কী ও কেন<br />
আর সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো মানুষের শরীর সূক্ষ্ম লোম বা চুলে ঢাকা। এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ স্থানে চুলের বৃদ্ধি ও গড়ন হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। কৈশোরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের প্রভাবে কিশোর ছেলেদের দাড়ি-গোঁফ গজায়; বুক, তলপেট ও ঊরুতে চুল বাড়ে, জুলপি বড় হয়। মেয়েদের শরীরে এন্ড্রোজেন খুবই কম মাত্রায় থাকে বলে এসব স্থানে ছেলেদের মতো চুল গজায় না। তবে মেয়েদের দেহে কখনো পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের আধিক্য দেখা দিলে এমনটা হতে পারে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মেয়ের এমনিতেই কোনো কারণ ছাড়াই শরীরে বেশি চুল থাকে। এ জন্য পরিবারে মা-বোনদের এ রকম ছিল কি না, তা জানা দরকার। ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত লোমের অধিকারী মেয়েরা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত। এরা সাধারণত ওজনাধিক্য বা স্থূলতায় ভোগে, কৈশোরে অবাঞ্ছিত লোম, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হয়, এদের মুখে ব্রণও বেশি হয়। হরমোন পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এদের শরীরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি, মেয়েলি হরমোনগুলোতেও কিছু তারতম্য আছে। এই মেয়েদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে চর্বির আধিক্য হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। পরবর্তী সময় এদের একটি বড় অংশ বন্ধ্যতা সমস্যায় ভোগে। <br />
যদি অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা খুব দ্রুত সময়ে অনেক মারাত্মক আকারে দেখা দেয়, তবে দেখতে হবে শরীরে এন্ড্রোজেন নিঃসরণকারী কোনো টিউমার বা ক্যানসার হয়েছে কি না। স্টেরয়েড ট্যাবলেট খেলে বা দেহে স্টেরয়েড হরমোনের আধিক্য থাকলেও অবাঞ্ছিত লোম বেশি হয়।<br />
বিব্রত হওয়ার কিছু নেই<br />
সত্যিই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রথমেই দেখতে হবে, অতিরিক্ত পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেন কোথা থেকে নিঃসৃত হচ্ছে; যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে বাইরে থেকে ইনজেকশন বা দেহের অভ্যন্তরে কোনো টিউমার নেই, তবে অন্যান্য প্রমাণের নিরিখে পলিসিস্টিক ওভারি আছে বলে ধরে নেওয়া যায়। মজার ব্যাপার, এই কিশোরীরা ওজন কমাতে সমর্থ হলেই নানা সমস্যা আপনাআপনিই সেরে যায়। যথাযথ খাদ্যনিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন অনেকখানি কমাতে পারলে মাসিক নিয়মিত হয়, লোম কমে আসে এবং ব্রণও কমে যায়। ওজন ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে অনেক সময় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। মাসিক নিয়মিত করার জন্য কখনো জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা অন্যান্য হরমোনজাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কৈশোরেই এদের ভবিষ্যৎ ডায়াবেটিস ও রক্তে চর্বির ঝুঁকি সম্পর্কে সাবধান হতে হবে, পরীক্ষা করতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিতে হবে। এই মেয়েরা পরবর্তী সময়ে গর্ভবতী হলে অবশ্যই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।<br />
দরকার ধৈর্য ও সঠিক জীবনাচরণ<br />
আমাদের শরীরে একটি চুলের আয়ু প্রায় ছয় মাস। তাই চিকিৎসায় ফল পেতে ছয় মাসের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই এই রোগের চিকিৎসায় প্রথমেই দরকার ধৈর্য। অবাঞ্ছিত লোম ওঠানোর অনেক পদ্ধতি আছে, যেমন—থ্রেডিং, ব্লিচিং, শেভ করা, ইলেকট্রলাইসিস বা ডায়াথারমির মাধ্যমে হেয়ার রিমুভ করা। চিকিৎসার পাশাপাশি এসব পদ্ধতিও প্রয়োগ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ওজন কমানো, সঠিক জীবনাচরণ মেনে চলা ও একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা তো চলবেই। কিশোরীর এই ব্রিবতকর সমস্যায় তাই অযথা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা না করে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা ও চিকিৎসা নেওয়াটা জরুরি। prothom-alo</div></div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-66818883609165905112012-01-05T04:12:00.000-08:002012-01-05T04:12:13.398-08:00শীতে বাতের সমস্যা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="alternativeCol justify cb oH mb10"> <div class="fL detailGallery twoCol mr20 mb10"> <div class="mb10"> <img alt="রওশন আরা" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/01/03/2012-01-03-15-14-02-4f031b3a9daee-untitled-14.jpg" /> রওশন আরা<br />
</div></div><div id="content" style="font-size: 18px; line-height: 24px;">মেডিসিন ও বাতরোগ বিশেষজ্ঞ, গ্রীন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ, গ্রীনরোড, ঢাকা।<br />
<br />
সমস্যা: আমার মায়ের বয়স ৭০ বছর। হাঁটু ও অন্যান্য সন্ধিতে ব্যথা করে। তবে শীতকালে ব্যথায় প্রায় অচল হয়ে পড়েন। গরম সেঁক, ব্যথার ওষুধ খেলে একটু উপশম হয়, কিন্তু এ সময় তিনি প্রায় চলৎশক্তিহীন থাকেন। এমনটি কেন হয় এবং কীভাবে শীতে একে প্রতিরোধ করা যায়।<br />
নাজমা<br />
পাবনা। <br />
পরামর্শ: আপনার মা সম্ভবত অস্টিওআর্থ্রাইটিসে (বয়সজনিত বাত) ভুগছেন। শীতে সব বাতব্যথাই বেশি অনুভূত হয়। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল, গরম কাপড় ও হাত-পায়ে মোজা পরাতে পারেন। অস্টিওআর্থ্রাইটিস পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়। তবে ওজন বেশি হলে কমিয়ে, হাঁটুর ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ থেকে বিরত থেকে এবং নিয়মিত কিছু হাঁটুর ব্যায়াম করে অপেক্ষাকৃত ভালো থাকা সম্ভব। প্রয়োজনে ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন। এ ছাড়া তাঁর শরীরে অন্য কোনো বাত আছে কি না, তা দেখার জন্য বিস্তারিত ইতিহাস ও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারলে ভালো হয়। <br />
সমস্যা: আমার বয়স ৪২। কিছুদিন আগে হঠাৎ হাতের বুড়ো আঙুলের সন্ধি ফুলে যায়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে বললেন, ইউরিক এসিড বেড়েছে এবং এসলোরিক ট্যাবলেট খেতে দিলেন। শুধু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ওষুধ না খেয়ে কি ইউরিক এসিড কমানো সম্ভব? উল্লেখ্য, আমার ইউরিক এসিড ছিল ৮ দশমিক ২ মিলিমোল। <br />
শামসুজ্জামান<br />
নীলক্ষেত, ঢাকা। <br />
পরামর্শ: বর্তমানে ইউরিক এসিড কমানোর জন্য ব্যাপক খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন নির্দেশিত নয়। শুধু লাল মাংস (গরু/খাসি) ও সামুদ্রিক মাছ কম খেতে হবে। তবে প্রথমবার আক্রান্ত হলেই সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি এসলোরিক ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের ওপরও ওষুধ সেবনের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে। এ বিষয়ে তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো। <br />
সমস্যা: আমি একটি কম্পিউটার গ্রাফিক্স ফার্মে কাজ করি। সারা দিন কম্পিউটারের সামনে বসতে হয়। রাতে ফেরার পর প্রায় প্রতিদিনই ঘাড়ে ব্যথা ও টন টন করে। ইদানীং এটি বেড়েছে। আমার কী করা উচিত?<br />
জিল্লুর রহমান<br />
উত্তরা, ঢাকা। <br />
পরামর্শ: আপনার অফিসের কম্পিউটার এবং চেয়ারের উচ্চতা ও দূরত্ব এমনভাবে পরিবর্তন করতে হবে যেন কাজ করার সময় ঘাড়ে চাপ কম পড়ে। দীর্ঘ সময় একইভাবে কাজ না করে মাঝেমধ্যে স্বল্প সময়ের জন্য বিরতি নিয়ে ঘাড় ও পিঠের স্ট্রেচিং করবেন। এ ছাড়া নিয়মিত ঘাড়ের ব্যায়াম করলেও উপকার পাবেন। পরামর্শ দিয়েছেন: রওশন আরা প্রথম আলো</div></div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-84576295436065459222012-01-05T04:09:00.000-08:002012-01-05T04:09:37.330-08:00সুখে কাটুক শীত<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="container"> <div> <div class="wslide-wrap" id="parent-wrap" style="height: 300px; margin: 0pt; overflow: hidden; padding: 0pt; position: relative; text-align: left; width: 340px;"><ul id="parent" style="height: 300px; left: 0px; margin: 0pt; padding: 0pt; position: absolute; top: 0px; width: 1020px;"><li id="parent-1" rel="0:0" style="display: block; float: left; height: 300px; overflow: hidden; width: 340px;"> <img alt="শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত দৌড়ান" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x340/img/uploads/media/2012/01/03/2012-01-03-15-13-19-4f031b0f68b3d-untitled-12.jpg" width="100%" /> শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত দৌড়ান<br />
</li>
<li id="parent-2" rel="340:0" style="display: block; float: left; height: 300px; overflow: hidden; width: 340px;"> <img alt="" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x340/img/uploads/media/2012/01/03/2012-01-03-15-13-44-4f031b284e14f-untitled-13.jpg" width="100%" /> </li>
</ul></div><div class="wslide-menu" id="parent-menu"> <a class="wactive" href="http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-04/news/213757#parent-1">1</a> <a href="http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-04/news/213757#parent-2">2</a></div></div></div><div id="content" style="font-size: 18px; line-height: 24px;">শীতের এ সময়টা কিন্তু বড় সুখের। ফল আর পিঠাপুলির আমেজে দিনগুলো পার করতে চাইলে সুস্থ থাকাটা যে খুব জরুরি। আর তাই জেনে নিন কেমন করে এড়াবেন শীতের রোগবালাই<br />
<br />
একটু সতর্কতা<br />
শীতের রোগজীবাণুগুলো এ সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে একজন থেকে আরেকজনে। কীভাবে ছড়ায় জীবাণুগুলো? এ খুব সহজ কথা। সংক্রমিত মানুষের হাত থেকে জীবাণুগুলো আটকে থাকে টেবিলে, টেলিভিশনের রিমোটে, কম্পিউটারের কি-বোর্ড কিংবা বাসের হাতলে। কোনো সুস্থ মানুষ এসব জায়গায় হাত দিলে জীবাণু চলে আসে তার হাতে। তারপর হাত থেকে শরীরে এবং শেষে মুখে ঢুকলেই বিপত্তি। তাই এ সময়টা সংক্রমিত লোকের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা থেকে বিরত থাকুন। আর কিছুক্ষণ পরপর ধুয়ে ফেলুন হাত দুখানা।<br />
<br />
দৌড়াতে হবে<br />
শীতের দিনগুলোতে ঠান্ডা আমেজে আলস্য এসে ভর করে। আলসেমিকে পাত্তা না দিয়ে দৌড়াতে বের হোন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী-পুরুষ সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন জোরে হাঁটেন ৪৫ মিনিট করে, তাঁদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অনেক কম। তবে শীতের সকালে দৌড়াতে বেরোলে গরম কাপড় সঙ্গে নিন।<br />
<br />
হেঁশেলের যত্ন<br />
রান্নাঘরের সুরক্ষায় একটু বাড়তি যত্নই নিন। এই ঘর থেকেই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের খাবার আসে টেবিলে। তাই খাবারের সঙ্গে যেন জীবাণু না এসে যায়, এ জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা। প্লেট, গ্লাস আর সিংক ধোয়ার স্পঞ্জ কিংবা কাপড়টি প্রতিদিন মাইক্রোওয়েভে দুই মিনিট গরম করে নিন। এ পদ্ধতিতে প্রায় ৯৯ শতাংশ জীবাণু ধ্বংস করা যায়। আর সতর্কতা হিসেবে স্পঞ্জ, কাপড়ের টুকরা মাইক্রোওয়েভে ঢোকানোর আগে ভিজিয়ে নিন। অন্যথায় ফায়ার সার্ভিসকে ডাকতে হতে পারে!<br />
<br />
খাওয়া, ব্যায়াম আর ঘুম<br />
শীতে মেলে প্রচুর সবজি। খেতেও হবে। আর মৌসুমি ফলের রসে গলা ভিজিয়ে নিন সুযোগ পেলেই। হালকা ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত। ব্যায়াম একদিকে যেমন কর্মক্ষমতা বাড়াবে, অন্যদিকে মুখেও ফিরিয়ে দেবে রুচি। আর দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। এসব কিছুর মিশেলে শরীরে তৈরি হবে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। দূরে থাকবে রোগ, শীত কাটবে আরামে।<br />
সিদ্ধার্থ মজুমদার প্রথম আলো</div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-24141249220154596272012-01-05T04:04:00.001-08:002012-01-05T04:04:21.531-08:00জলবসন্তের বিস্তাররোধে সূর্যালোক!<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">সূর্যের আলো জলবসন্ত ছড়িয়ে পড়া রোধে সহায়ক পারে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। <br />
<br />
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গবেষণা করে দেখেছেন, যেসব এলাকায় অতিবেগুনী রশ্মির (আলট্রা ভায়োলেট) মাত্রা বেশি সেসব এলাকায় জলবসন্তের প্রকোপ কম। <br />
<br />
‘ভিরোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। <br />
<br />
সূর্যালোক কিভাবে জলবসন্তের বিস্তাররোধে সহায়ক হতে পারে তার ব্যাখ্যায় গবেষকরা বলছেন, চামড়ায় থাকা ভাইরাসগুলো সূর্যের আলোয় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তে পারে। ফলে এগুলো অন্যের দেহে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। <br />
<br />
তবে অন্যান্য গবেষকেরা তাপমাত্রা, আদ্রতা ও এমনকি জীবনযাত্রার মানসহ আরো বেশ কিছু নিয়ামকের কথা উল্লেখ করেছেন। জলবসন্তের প্রকোপ ঠেকাতে এগুলোরও সমান ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা। <br />
<br />
জল বসন্তের জন্য দায়ী ভ্যারিসেলা-জোস্টার ভাইরাসটি খুবই সংক্রামক। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এ ভাইরাস মূলত হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। শরীরে জলযুক্ত গুটি ও দাগের উপস্থিতি এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। <br />
<br />
অতিবেগুনী রশ্মিতে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার নজির দীর্ঘদিনের। লন্ডনের সেন্ট জর্জেস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডক্টর ফিল রাইস মনে করেন, ক্রান্তিমণ্ডলীয় দেশগুলোতে জলবসন্ত কম হওয়া এবং তা কম ছড়ানোর কারণ এটিই। <br />
<br />
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/</div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-63775522093039032332012-01-05T04:01:00.000-08:002012-01-05T04:01:23.550-08:00‘ক্লান্তি কমাবে যোগ ব্যায়াম’<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">স্তন ক্যান্সার থেকে আরোগ্যলাভকারীদের ক্লান্তি কমাতে পারে যোগ ব্যায়াম। স¤প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। <br />
<br />
স্তন ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়ার পর এক তৃতীয়াংশ নারীই ক্লান্তিতে ভোগে। আর এ ক্লান্তি তাদের জীবনের গুণগতমানের ওপর প্রভাব ফেলে। <br />
<br />
তবে গবেষণায় দেখা যায়, যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্ষয় হওয়া জীবনীশক্তি অনেকাংশেই ফিরে পাওয়া সম্ভব। <br />
<br />
ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ছোট একটি গবেষণা করা হয়। এতে স্তন ক্যান্সার থেকে আরোগ্য হওয়া ৩১ জন নারীকে তিনমাস ধরে সপ্তাহে দুই দিন যোগ ব্যায়াম করানো হয়। <br />
<br />
যোগ ব্যায়ামের পর দেখা যায়, তাদের মধ্যে ক্লান্তি কমে প্রাণশক্তি বাড়ছে। যোগ ব্যায়ামের ক্লাসে যাওয়া ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়াদের মধ্যে ২৬ শতাংশ ক্লান্তি কমেছে এবং ৫৫ শতাংশ প্রাণশক্তি বেড়েছে। <br />
<br />
এদিকে আরেক দলকে শুধু ক্যান্সারপরবর্তী স্বাস্থ্য বিষয়ক ক্লাস করানো হয়। এর ফলাফলে দেখা যায়, ওই দলের ক্লান্তি বা অবসাদের মাত্রায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। <br />
<br />
ক্যান্সার নামের একটি জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। <br />
<br />
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/</div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-63920273209622931642012-01-05T03:58:00.001-08:002012-01-05T03:58:48.736-08:00স্মৃতিভ্রংশ প্রতিরোধ করতে পারে খাদ্যাভ্যাস<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও মাছ স্মৃতিভ্রংশ রোগ বা মস্তিস্কের বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। অন্যদিকে, টুকিটাকি খাবার বিপরীত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। <br />
<br />
স্নায়ুবিজ্ঞান সম্পর্কিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বয়স্ক লোকের রক্তে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড আছে তাদের মস্তিস্ক সংকোচনের পরিমাণ কম এবং মানসিক সামর্থ্য অনেক বেশি থাকে। <br />
<br />
অন্যদিকে, রক্তে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকলে মস্তিক সংকোচনের পরিমাণ বেশি হয়। সাধারণত কেক, বিস্কুট ও ভাজা খবারসহ প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার বা ফাস্ট ফুডে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। <br />
<br />
তাই স্মৃতিভ্রংশ বা আলঝেইমার প্রতিরোধে গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, প্রচুর ফলমুল ও শাক-সবজিসহ সুষম খাবার খাওয়া, ধূমপান না করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং নিয়মিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা পরিমাপ করা। <br />
<br />
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, যুক্তরাজ্যের ‘আলঝেইমার’স রিসার্চ’ নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। <br />
<br />
গবেষণায় ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে সরাসরি প্রশ্ন না করে তাদের রক্তের পুষ্টিমান যাচাই করা হয়েছে। <br />
<br />
স্মৃতিভ্রংশ গবেষণা কর্মসূচির প্রধান গবেষক ডা. সিমন রিডলে বলেছেন, “এ রোগের ওপর খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব নিরূপণ করতে আরো প্রমাণ প্রয়োজন এবং এক্ষেত্রে বড় পরিসরে ও দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করলেই তা সম্ভব।” <br />
<br />
বিবিসি জানায়, আলোচ্য গবেষণায় গড়ে ৮৭ বছর বয়স্ক ১০৪ জন ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করে গবেষণার ফল নিরূপণ করা হয়েছে। <br />
<br />
বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, মনোভাবের পরিবর্তন এবং যোগাযোগ ও কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ে ব্যার্থতাই স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। <br />
<br />
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম</div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-283596701503622962011-11-26T21:03:00.001-08:002011-11-26T21:03:55.394-08:00বার্ধক্য ঠেকাতে ‘ড্রাকুলা থেরাপি’<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="limg"><div><img class="iborder" src="http://www.barta24.net/admin/news_images/image_18191_0.jpg" width="300" /></div></div> ‘ড্রাকুলা’ বলতে আমরা এক কথায় বুঝি পিশাচ। যারা মানুষের রক্ত শুষে নেয়। কিন্তু এখন চিকিৎসকরা এই ‘ড্রাকুলা’কে নিয়ে এসেছেন তাদের ল্যাবরেটরিতে। বার্ধক্য ঠেকাতে অবিষ্কার করা নতুন পদ্ধতির নাম দেয়া হয়েছে ‘ড্রাকুলা থেরাপি’। <div> </div><div> এই থেরাপির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এই থেরাপিটি ‘ড্রাকুলা’র রক্ত শুষে নেয়ার পদ্ধতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আবিষ্কার করা হয়েছে বলে একে বলা হয় ‘ড্রাকুলা থেরাপি’।</div><div> </div><div> এই থেরাপিতে বলিরেখা এবং বার্ধক্য ঠেকাতে নিজের দেহের রক্ত বের করে, ল্যাবরেটরিতে প্রক্রিয়াজাত করে তা আবার নিজ দেহেই ঢোকানো হয়।</div><div> </div><div> এই থেরাপির গবেষক বৃটেনের বিএলকে স্পেশালিটি হসপিটালের প্লাসিট এবং কসমেটিক সার্জারি বিভাগের প্রধান এএস বাথ একটি সংবাদ মাধ্যমে এই ‘ড্রাকুলা থেরাপি’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। বাথ বলেন, “এই নতুন পদ্ধতিটি খুবই নির্ভরযোগ্য। আমরা বার্ধক্য ঠেকাতে এখানে রোগীর দেহের রক্ত ব্যবহার করি। রোগীর দেহ থেকে আমরা ১৫-২০ এমএল রক্ত নিই। এবং রক্তের গ্রোথ হরমোনকে প্রকিয়া করি। এরপর তা আবারো রোগীর দেহে প্রয়োগ করি। ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রক্রিয়া করা রক্ত রোগীর মুখমণ্ডলে ঢোকানো হয়।”</div><div> </div><div> বাথ আরো জানান, রক্তের প্লেটলেট রিচ প্লাসমা (রক্তের এক ধরনের উপাদান) বের করে ফেললে রক্তের গ্রোথ হরমোনের উদ্দীপততা আরো বেড়ে যায়। এরপর তা রোগীর দেহে আবারো ঢোকানো হলে তা বার্ধ্যকের বিরুদ্ধে কাজ করে। মাইক্রো নিডেলস বা সুক্ষ্ম সুইয়ের মাধ্যমে এই ব্যথামুক্ত থেরাপিটি সম্পাদন করেন বৃটেনের চিকিৎসকরা। তিন ধাপে এই থেরাপিটি দেয়া হয়। আর প্রতিটি ধাপের জন্য রোগীকে খরচ করতে হয় ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থা এই পদ্ধতিতে বলিরেখা এবং বার্ধক্য ঠেকাতে সর্বসাকুল্যে খরচ হবে এক লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।</div><div> </div><div> এই থেরাপি ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বাথ বলেন, “যেহেতু এখানে রোগীকে আমরা তার নিজের রক্তই তার দেহে প্রয়োগ করছি, তাই এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো অভিযোগ এখনো আসেনি। তিন মাসে আমরা আটজন রোগীর বার্ধক্য ঠেকাতে এই ‘ড্রাকুলা থেরাপি’ করেছি।”</div><div> </div><div> তিনি আরো বলেন, “তবে, ‘ড্রাকুলা থেরাপি’র একটি দিক নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু রক্ত খুবই স্পর্শকাতর একটি উপাদান, তাই এর প্রক্রিয়া করার সময় আমাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ল্যাবরেটরি হতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং চিকিৎসকদের হতে হবে অভিজ্ঞ।”</div><div> </div><div> এই থেরাপি নেয়ার বয়সসীমা সম্পর্কে বাথ বলেন, “আপতত ‘ড্রাকুলা থেরাপি’র প্রতি নারীদেরই বেশি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে ত্রিশোর্ধ্ব নারীরাই বেশি এই থেরাপি নিচ্ছেন। তবে, এই থেরাপি ১৮ বছরের পর থেকে যেকোনো ব্যক্তিই নিতে পারবেন।”</div><div> </div><div> বার্তা২৪ ডটনেট/আর</div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-53069183025656675892011-11-26T20:56:00.000-08:002011-11-26T20:56:10.824-08:00চিকিৎসাবিজ্ঞানের সেরা ১৩ আবিষ্কার<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="limg"><div><img class="iborder" src="http://www.barta24.net/admin/news_images/image_17816_0.jpg" width="194" /></div><div style="border-top: 1px solid #eee; color: #cd0000; display: block; font-size: 15px; padding-top: 5px; width: 300px;">ব্লাড গ্রুপ না জানা থাকলে চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব</div></div>: কখনো কি ভেবেছেন, এখন পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার কোনগুলো? অথবা বিজ্ঞানীদের কোন কোন উদ্ভাবন আমাদেরকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সহায়তা করছে? <br />
হঠাৎই একদিন মনে হলো বিজ্ঞানীরা আমাদের জন্য কতকিছুই না করছেন৷ তাদের একের পর এক আবিষ্কার আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলছে৷ সেটা বিজ্ঞানের সব শাখার ক্ষেত্রেই সত্য৷ তবে আজ আমরা জানবো চিকিৎসাবিজ্ঞান সম্পর্কে৷ এ বিষয়ে তথ্যের জন্য সাহায্য নেই বিজ্ঞানীদের আরেক বিস্ময়কর আবিষ্কার ইন্টারনেটের৷<br />
<br />
সেখানে অ্যামেরিকান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘ডিসকভারি কমিউনিকেশনস’র বিজ্ঞান বিষয়ক চ্যানেল ‘সায়েন্স’র করা একটি তালিকা খুঁজে পেলাম৷ তারা বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০০টি আবিষ্কারের একটা তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছে৷ এর মধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের রয়েছে ১৩টি৷<br />
<br />
প্রথমে এসেছে অ্যানাটমি বা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাটাছেঁড়ার বিষয়টি৷ অ্যানাটমির জনক আন্দ্রেয়াস ভেসিলাস ১৫৩৮ সালে প্রথমবারের মতো মরদেহ কেটে ভিতরে কোন্ জিনিস কী অবস্থায় আছে সেটা জানার চেষ্টা করেছিলেন৷ কেননা তার মনে হয়েছিল সঠিকভাবে সার্জারি করার জন্য বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন৷<br />
<br />
এরপর এসেছে রক্ত সঞ্চালনের বিষয়৷ অ্যানাটমি আবিষ্কারের প্রায় ৯০ বছর পর উইলিয়াম হার্ভে এ ব্যাপারটি সবার সামনে নিয়ে আসেন৷ তিনি বলেন, মানুষের হৃদপিণ্ড সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে থাকে৷<br />
<br />
রক্তের যে বিভিন্ন গ্রুপ হতে পারে সেটা প্রথম জানান অস্ট্রিয়ার দুই জীববিজ্ঞানী, ১৯০২ সালে৷ তাদের কারণে ব্লাড ট্রান্সফিউশনের বিষয়টি এখন অনেক নিরাপদ৷<br />
<br />
ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে জানার আগেই অবশ্য বিজ্ঞানীরা অ্যানেস্থেশিয়া বিষয়টি জেনে গিয়েছিলেন৷ ১৮৪২ থেকে ১৮৪৬ এই চার বছরের মধ্যেই অনেক বিজ্ঞানী বের করেন যে, কিছু কিছু কেমিক্যালের কারণে রোগীকে ব্যথা দেয়া ছাড়াই সার্জারি করা সম্ভব৷<br />
<br />
জার্মান বিজ্ঞানী ভিল্মহেল্ম রোয়ন্টগেন ১৮৯৫ সালে এক্স-রে আবিষ্কার করেন৷ এর ফলে শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞান নয়, লাভবান হয়েছে পদার্থবিদ্যাও৷ ফলে পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম নোবেল পুরস্কারটি পেয়েছেন রোয়্যান্টগেন৷<br />
<br />
লুই পাস্তুরের কথা আমরা অনেকেই জানি৷ তাকে বলা হয় ব্যাকটেরিওলজির জনক৷ কারণ ১৮শ’ শতকের দিকে যখন কলেরা, অ্যানথ্রাক্স এসব রোগের উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন পাস্তুরই আবিষ্কার করেন যে, কিছু কিছু মাইক্রোবের কারণে এসব রোগ হয়ে থাকে৷ এসব মাইক্রোব বা জীবাণুর নাম তিনি দেন ব্যাকটেরিয়া৷<br />
<br />
ব্যাকটেরিয়া যেমন রোগের কারণ তেমনি পুষ্টিকর খাবারের অভাবেও রোগ হতে পারে৷ ১৯ শতকের প্রথম দিকে এই তত্ত্ব নিয়ে আসেন ফ্রেডেরিক হপকিন্স৷ পরবর্তীতে খাবারের এই সব উপাদানের নাম দেয়া হয় ভিটামিন৷<br />
<br />
তালিকায় এরপর এসেছে পেনিসিলিনের নাম৷ আলেকজাণ্ডার ফ্লেমিং এটি আবিষ্কার করেন৷ পরে হাওয়ার্ড ফ্লোরে এবং বরিস চেইন পেনিসিলিন নিয়ে আরও গবেষণা করেন৷ এর এক পর্যায়ে তারা দেখতে পান ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত ইঁদুরকে পেনিসিলিন দিয়ে সারিয়ে তোলা যাচ্ছে৷<br />
<br />
১৯৩০ এর দশকে গেরহার্ড ডোমাক’র আবিষ্কার ‘সালফা ড্রাগস’ও ব্যাকটিরায়জনিত রোগ নিরাময়ে কাজ করে৷<br />
<br />
ইংরেজ চিকিৎসক এডওয়ার্ড জেনার ১৭৯৬ সালে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেন৷ ১৭৮৮ সালে ব্রিটেনের বিভিন্ন গ্রামে মহামারি আকারে গুটিবসন্ত ছড়িয়ে পড়লে সেটা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন জেনার৷ এর ফলশ্রুতিতেই পরবর্তীতে তিনি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সমর্থ হন৷<br />
<br />
ডায়াবেটিস রোগীদের জীবন অনেকটা সহজ করে দিয়েছে ইনসুলিন৷ রক্তে সুগার বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে এই হরমোন৷ ১৯২০ এর দশকে ইনসুলিনের আগমনের আগে ডায়াবেটিস রোগ মানেই মনে করা হতো ধীরে ধীরে রোগীর নিশ্চিত মৃত্যু৷<br />
<br />
হ্যারল্ড ভার্মুস এবং মাইকেল বিশপ ১৯৭৫ সালে অঙ্কোজিনের সন্ধান দেন৷ এটা এমন এক জিন, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে৷<br />
<br />
সবশেষে এসেছে এইডস রোগের কারণ এইচআইভি ভাইরাসের আবিষ্কার৷ একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই বিজ্ঞানী রবার্ট গেলো এবং লুক মন্টাজনিয়ের ১৯৮০’র দশকে এই ভাইরাসের সন্ধান দিয়েছিলেন৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।<br />
<br />
বার্তা২৪ ডটনেট/এসএফ</div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-89047398784840624032011-11-26T20:51:00.000-08:002011-11-26T20:51:06.558-08:00আয়নার কেরামতিতে কমবে বাতের ব্যথা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="limg"><div><img class="iborder" src="http://www.barta24.net/admin/news_images/image_18544_0.jpg" width="280" /></div></div>বাতের ব্যথা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া খুব সহজেই সম্ভব না। কিন্তু এই ব্যথা কামানোর খুব সহজ এবং সস্তা একটি পথ সম্প্রতি খুঁজে বের করেছেন একদল গবেষক। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক আয়না দিয়ে বাতের ব্যথা কমানোর খুব সহজ একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। <div> </div><div> ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ‘মিরর ট্রিক’। তারা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে বাতের ব্যথা পুরোপুরি সারানো না গেলেও কিছু সময়ের জন্য মস্তিষ্ককে ফাঁকি দিয়ে ব্যথামুক্ত থাকা যায়।</div><div> </div><div> এই গবেষণার প্রধান গবেষক লরা কেস বলেন, “আমাদের গবেষণা থেকে যে পদ্ধতিটি বেরিয়ে আসলো তা খুবই সহজ এবং সস্তা। এর মাধ্যমে, আয়না দিয়ে বাতের ব্যথাসহ মাংসপেশীর অসাড়তা এবং আঘাতজনিত ব্যথাও দূর করা সম্ভব।”</div><div> </div><div> এই ‘মিরর ট্রিক’র ব্যাপারে লরা জানান, এই পদ্ধতিতে রোগীর যদি বাম হাতে বাতের ব্যথা থাকে তাহলে একটি টেবিলে ওই হাতটি রাখা হয় এবং একটি বড় আয়না দিয়ে সেই হাতটি ঢেকে দেয়া হয়। এরপর রোগীর ডান হাত টেবিলের ওপর তোলা হয়। হাতটি এমনভাবে রাখতে হবে যেন ডান হাতের প্রতিবিম্বটি গিয়ে ঠিক বাম হাতের জায়গায় পড়ে। প্রতিবিম্বটি দেখলে যেন দেখলে মনে হয় এটা রোগীর বাম হাতই। এরপর রোগীর সামনে দাঁড়াবেন একজন চিকিৎসক যিনি রোগীকে বামদিকের আয়নার দিকে তাকিয়ে ডান হাত নাড়াতে বলবেন। এভাবেই কিছুক্ষণ রোগী তার ডান হাত বিভিন্ন ভাবে নাড়াবেন এবং আয়নার দিকে তাকিয়ে তা দেখবেন। এতে কিছুক্ষণ পর রোগী তার বাম হাতের ব্যথা কম অনুভব করবে।</div><div> </div><div> লরা বলেন, “শুনতে অদ্ভূত মনে হলেও, আমরা এই ‘মিরর ট্রিক’ খেবে ইতিবাচক ফল পেয়েছি। আমাদের দেয়া ‘মিরর ট্রিক’-এ গড়ে প্রতি ১০ জন রোগীর একজন ইতিবাচক ফলাফল পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ নির্ভর করে রোগীর মানসিক অবস্থার ওপর এবং তার সদিচ্ছার ওপর।”</div><div> </div><div> বার্তা২৪ ডটনেট/আর</div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-8191995497981357592011-11-26T20:49:00.000-08:002011-11-26T20:49:17.809-08:00প্লেট বলে দেবে খাবার পরিমাণ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="limg"><div><img class="iborder" src="http://www.barta24.net/admin/news_images/image_18781_0.jpg" width="300" /></div></div> বৃটেনের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (এনএইচএস) এমন একটি খাবার প্লেট আবিষ্কার করেছে, যা বলে দেবে কে, কতটুকু খাবে, কিভাবে খাবে? <div> </div><div> বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই প্লেট স্থূল ব্যক্তিদের জন্য অনেক উপকারী একটি যন্ত্র। কারণ, কোনো স্থূল ব্যক্তি যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার প্লেটে তুলবে তখনই সতর্কবাণী বেজে উঠবে, বেশি দ্রুত খাওয়া শুরু করলে কথা বলে উঠবে প্লেটটি।</div><div> </div><div> অদ্ভূত এই যন্ত্রটির নাম হলো ‘ম্যান্ডোমিটার’। বৃটেনের বাজারে এটা ১৫০০ পাউন্ডের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে।</div><div> </div><div> ‘ম্যানন্ডেমিটার’ তৈরি হয়েছে সুইডেনে। এরপর এটা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। এই গবেষণার প্রধান প্রফেসর জুলিয়ান হ্যামিলটন শিল্ড বলেন, “আমরা প্রায় ৬০০ বৃটিশ পরিবারকে ম্যান্ডোমিটার দিই। এই ৬০০ পরিবারে অন্তত দুই সদস্য স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। তাদের ম্যান্ডোমিটার দেয়ার পর এক বছর পর্যবেক্ষণ করি। এবং দেখতে পাই ছয় মাস ম্যান্ডেমিটার তাদের খাবার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এরপরের ছয় মাস আর তাদের ম্যান্ডোমিটারের প্রয়োজন হয়নি। এমনিতেই তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এসছে।”</div><div> </div><div> এই যন্ত্রটির আছে তিনটি অংশ। একটি প্লেট, প্লেটের নিচে একটি ছোট্ট মিটার এবং একটি স্ক্রিন। ওই স্ক্রিনে আগে থেকেই দিয়ে দেয়া হয় স্থূল ব্যক্তির বয়স, ওজন এবং উচ্চতা। এরপর বয়স, ওজন এবং উচ্চতার তুলনায় প্লেটে বেশি খাবার তুলে নিলে সংকেত দেয় মনিটর। এরপর যদি খাবার বেশি দ্রুত বা প্লেট থেকে প্রয়োজনের তুলনা বেশি তুলে ফেলে তাহলে কথা বলে উঠে প্লেটটি। সতর্ক করে বলে, “প্লিজ ইট মোর স্লোলি”। আর খাবার শেষে প্লেটটি প্রশ্নও করে, “আর উই ফিলিং ফুল ইয়েট?”</div><div> </div><div> ম্যান্ডোমিটার নিয়ে গবেষণা শেষে এর ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিকেল রিসার্চ ইউনিট থেকে বলা হয়েছে, ম্যান্ডোমিটার থেকে স্থূলতার সমস্যা নিরসনে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। তাই এখন এটা বাজারে ছাড়া হয়েছে এবং এর জন্য যথেষ্ট সাড়াও পাওয়া গেছে।</div><div> </div><div> বার্তা২৪ ডটনেট/আর</div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-52121722790803430902011-11-26T20:43:00.000-08:002011-11-26T20:43:12.674-08:00ডায়রিয়া চিকিৎসায় আমিষের ভূমিকা অপরিহার্য<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ডায়রিয়া ও কলেরা চিকিৎসায় আমিষের ভূমিকা অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন জাতীয় কমিটির ‘কলেরা ও ডায়রিয়া চিকিৎসায় আমিষের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন তারা। <br />
<br />
আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবি’র সাবেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. শাহাদত হোসেন। আরো আলেচনা করেন, অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব, ড. নিতাই কান্তি দাসসহ বিশেষজ্ঞরা। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন পিএসটিসির কো অর্ডিনেটর শশাঙ্ক বরণ রায়।<br />
<br />
আলোচকরা জানান, ডায়রিয়া ও কলেরা প্রতিরোধে ঔষধ ও পথ্যের পাশাপাশি আমিষ জাতীয় খাবার খুবই গুরুত্বপুর্ণ। এ ব্যপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালাতে হবে। মহাখালীর কলেরা হাসপাতালের রুগিদের খাবার তালিকা থেকে মাংস ও ডিম সরবরাহ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এটি আবার চালু করার কথা বলা হয়।<br />
<br />
বার্তা২৪ ডটনেট/এসপি/জাই</div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-67809086513371391242011-11-26T20:41:00.001-08:002011-11-26T20:41:45.397-08:00ফুড আর মুডের সম্পর্ক<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="limg"><div><img class="iborder" src="http://www.barta24.net/admin/news_images/image_19234_0.jpg" width="238.347457627" /></div></div> আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস শুধু আমাদের শরীরেই প্রভাব ফেলে না, খাদ্যের ধরনের ওপর নির্ভর করে আমাদের মুডও। <div> </div><div> সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ফ্যামিলি ফিজিয়ানস এমন কিছু খাবার এবং খাদ্য উপাদানের কথা জানালো যা আমাদের মেজাজকে ভালো এবং চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।</div><div> </div><div> · ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই এসিড আমাদের গরম মেজাজ বা অশান্ত মনকে কাবু করতে সাহায্য করে। ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ এবং আখরোটে।</div><div> · মুরগি ও গরুর গোশত, সয়া এবং দুগ্ধজাত খাদ্যে থাকে ট্রাইপটোফান নামের এক ধরনের উপদান। যার নিয়মিত গ্রহণের ফলে উত্তেজিত এবং অস্থির মানসিক অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।</div><div> · সবুজ শাক-সবজি এবং বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। সুস্থ, শান্ত এবং স্থির মানসিক স্বাস্থের জন্য এই উপদানটিও অনেক উপকারী।</div><div> · সবুজ শাক-সবাজতে আরো এক ধরনের উপকারী উপাদান আছে, যার নাম ফলিক এসিড। এই উপাদানটি তাজা রঙিন ফলেও পাওয়া যায়। এই উপাদানটি মস্তিষ্কে এক ধরনের স্থির অবস্থার সৃষ্টি করে এবং চাঞ্চল্য কমায়। এর ফলে আপনার মুড বা মেজাজ থাকে ফুরফুরে।</div><div> · খাদ্যের মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত মেজাজ-মর্জিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরেকটি উপকারী উপাদান হলো ভিটামিন বি-১২। দুগ্ধজাত খাবার, গোশত এবং মাছে এই উপাদানটি থাকে প্রচুর পরিমাণে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক সুশৃঙ্খলভাবে তার কাজগুলো সম্পাদন করে, যার ফলে মেজাজও ঘন ঘন বিগড়ে যায় না।</div><div> </div><div> মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখার এই দিকনির্দেশনার পাশাপাশি আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ফ্যামিলি ফিজিয়ানস আরো জানিয়েছে, এই সব খাদ্য নিয়মিত গ্রহণের ফলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকলে মেজাজ মর্জি থাকবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, আমেরিকার অধিকাংশ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডিপ্রেশন এবং শর্ট টেম্পারড রোগীদের এই খাবারগুলো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।</div><div> </div><div> বার্তা২৪ ডটনেট/আর/এসএফ</div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-24175023563066443512011-11-19T02:19:00.001-08:002011-11-19T02:19:51.884-08:00 প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট ব্যায়াম, কী আশ্চর্য ফল!<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="alternativeCol justify cb oH mb10"> <div class="fL detailGallery twoCol mr20 mb10"> <div class="mb10"> <img alt="" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2011-11-15-13-46-04-030951800-untitled-12.jpg" /> </div></div><div id="content" style="font-size: 18px; line-height: 24px;">পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বারডেম হাসপাতাল, সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।<br />
<br />
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট-এ। দেখা গেছে, নিষ্ক্রিয় লোক, ঘরে বসে থাকা যাঁদের অভ্যেস, তাঁরা যদি প্রতিদিন ১৫ মিনিট মাত্র ব্যায়াম করেন, তাহলে মৃত্যুঝুঁকি কমে ১৪% এবং প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে যায় তিন বছর। নিষ্ক্রিয় লোক এবং সক্রিয় লোক যাঁরা নানা কাজে, নানা শরীরচর্চায় বা শ্রমের কাজে নিয়োজিত—এই দুই দলের মধ্যে তুলনা করে এমন ফল এসেছে।<br />
অনেক স্বাস্থ্য সংস্থা, যেমন—বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শরীরচর্চার হিতকরী ফলকে স্বীকার করেছেন এবং হপ্তায় ১৫০ মিনিট মাঝারি ব্যায়ামের পরামর্শও দিয়েছেন। তবে এই পরামর্শের চেয়ে কম সময় ব্যায়াম করলে গড় আয়ুর ওপর কী প্রভাব পড়ে, তা অস্পষ্ট। <br />
তাইওয়ান ও চীন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ন্যাশনাল হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডা. চিপাংওয়েন এবং ন্যাশনাল তাইওয়ান স্পোর্ট ইউনিভার্সিটির ড. জ্যাকসন পুই মানউই ও সহকর্মীরা নানা মানের শরীরচর্চার স্বাস্থ্য হিতকরী ফল যাচাই করে দেখেছেন।<br />
এরই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন চার লাখের বেশি মানুষ, যাঁরা তাইওয়ানে ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মেডিকেল স্ক্রিনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এঁদের ফলোআপ করা হলো গড়ে আট বছর। এঁরা প্রতি হপ্তায় যা শরীরচর্চা করেন বলে নিজেরা বললেন, এই তথ্যসূত্র ধরে তাঁদের ব্যায়ামের মানের পাঁচটি ধাপে ভাগ করা হলো: নিষ্ক্রিয়, কম শরীরচর্চা, মাঝারি শরীরচর্চা, উঁচু মান ও অতি উঁচু মানের শরীরচর্চা। নিষ্ক্রিয় গ্রুপের সঙ্গে প্রতিটি গ্রুপের তুলনা করে বিপর্যয় অনুপাত গণনা করা হলো, প্রতি দলের প্রত্যাশিত গড় আয়ুও গণনা করা হলো।<br />
<br />
কম মান শরীরচর্চাতেও বেশ ফল<br />
নিষ্ক্রিয় যাঁরা, একেবারেই ব্যায়াম করেন না, এঁদের সঙ্গে যাঁরা কম শরীরচর্চা করেন তুলনা করলে, অর্থাৎ যাঁরা হপ্তায় মাত্র ৯২ মিনিট ব্যায়াম করেছেন (দিনে মাত্র ১৫ মিনিট) এদের মৃত্যুঝুঁকি কমে ১৪%, ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি কমে ১০%, প্রত্যাশিত গড় আয়ু বাড়ে তিন বছর। প্রতিদিন ন্যূনতম ১৫ মিনিট শরীরচর্চাকালের চেয়ে বাড়তি আরও ১৫ মিনিট বেশি শরীরচর্চা করলে মৃত্যুঝুঁকি আরও ৪% কমে, ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি কমে আরও ১%। সব বয়স ও জেন্ডারে এটি প্রযোজ্য। যাঁদের হূদেরাগের ঝুঁকি, তাঁদের জন্যও।<br />
তুলনামূলকভাবে নিষ্ক্রিয় লোকদের মৃত্যুঝুঁকি কম শরীরচর্চা লোকদের চেয়ে ১৭% বেশি। গবেষকদের মন্তব্য: ‘সামান্য যে পরিমাণ ব্যায়ামের পরামর্শ আমরা দিচ্ছি, তা মেনে চললেও হূদেরাগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারে মৃত্যুহার তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস করা সম্ভব। ‘কম মাত্রা শরীরচর্চা’ ও অসংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে, কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করবে, কমে যাবে চিকিৎসাগত ব্যয় ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বৈষম্য।’<br />
মন্ট্রিয়াল হার্ট ইনস্টিটিউটের ও কুইবেক, কানাডার ইউনিভার্সিটি দ্য মন্ট্রিয়ালের ডা. অনিল নিগাম ও মার্টিন জুনাউ বললেন, ‘সপ্তাহের প্রায় প্রতিটি দিন মাত্র ১৫ মিনিট শরীরচর্চা করলে যে মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব, এই তথ্যটি অনেককে তাঁদের ব্যস্ত জীবনে সামান্য সময়ের শরীরচর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করবে।’ সরকার ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের দায়িত্ব হলো এই সংবাদ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সামান্য হলেও শরীরচর্চা করা, সক্রিয় জীবন যাপন করতে জনগণকে বোঝানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রয়েছে এঁদের। এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট, সামান্য পরিমাণ শরীরচর্চাও ভালো, বেশি করলে আরও ভালো।</div></div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-41508297443246667442011-11-19T02:18:00.000-08:002011-11-19T02:18:44.844-08:00ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করুন, এখনই<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="alternativeCol justify cb oH mb10"> <div class="fL detailGallery twoCol mr20 mb10"> <div class="mb10"> <img alt="ডায়াবেটিসের রোগীকে ইনসুলিন প্রয়োগে শিক্ষা দিচ্ছেন বারডেম হাসপাতালের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2011-11-15-13-45-50-050866300-untitled-11.jpg" /> ডায়াবেটিসের রোগীকে ইনসুলিন প্রয়োগে শিক্ষা দিচ্ছেন বারডেম হাসপাতালের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের কর্মী<br />
<div class="small ash">ছবি: সৈকত ভদ্র</div></div></div><div id="content" style="font-size: 18px; line-height: 24px;">অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান<br />
এন্ডোক্রাইন ও মেটাবলিজম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল <br />
<br />
১৪ নভেম্বর স্যার ফ্রেডেরিক গ্রান্ট বেনটিং নামের এক অসাধারণ নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর জন্মদিন, ১৯২২ সালে যাঁর ইনসুলিন আবিষ্কার দুনিয়ার লক্ষ-কোটি ডায়াবেটিসের রোগীকে দেখিয়েছিল জীবনের আলো। তাই এই ১৪ নভেম্বর দিনটিকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) বেছে নেয় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে। আজকের ৭০০ কোটি মানুষের এই বিশ্বে ২৮৫ মিলিয়ন মানুষ নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। ২০৩০ সালে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে। এই বিশালসংখ্যক ডায়াবেটিসের রোগীর ৭০ শতাংশেরই বসবাস দরিদ্র ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে স্বাস্থ্য তথা ডায়াবেটিস খাতে বার্ষিক বরাদ্দ সবচেয়ে কম। আর বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে বিশ্বে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যার দিক দিয়ে অষ্টম দেশ। তাই ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর ধরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের বক্তব্য একটাই—ডায়াবেটিস সম্পর্কে শিক্ষা নিতে হবে এবং একে প্রতিরোধ করতে হবে। একটি নীল বৃত্তের মধ্যে জড়ো হতে হবে বিশ্বের সবাইকে, যেখানে স্লোগান থাকবে—ডায়াবেটিসকে নিয়ে কাজ করুন, এখনই।<br />
<br />
চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকে এই অঞ্চলে মানুষের গড় আয়ু ছিল অনেক কম। কলেরা, ডায়রিয়া, বসন্ত ইত্যাদি সংক্রামক রোগের আক্রমণে উজাড় হতো গ্রামের পর গ্রাম। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতি ও নিরাপদ পানি বা খাদ্যের সরবরাহ এসব সংক্রামক ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে অনেক। আর তাই বয়সজনিত জটিলতা, যেমন—ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হূদেরাগ ইত্যাদি এখন হয়ে উঠেছে বড় ঘাতক। সত্তর দশকের শুরুতে প্রথম যখন আমরা ডায়াবেটিস নিয়ে এ দেশে কাজ করতে শুরু করি, তখন ডায়াবেটিসের প্রকোপ ছিল মোট জনসাধারণের মাত্র ১ শতাংশের মতো। আজ ৪০ বছর পর মোট জনগণের ৬ থেকে ৭ শতাংশ ডায়াবেটিসের রোগী। বর্তমানে ২০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে এই ভয়ংকর ব্যাধিতে আক্রান্ত। আর আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ডায়াবেটিস-আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর অষ্টম দেশ। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তাই আজ এক মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন। ডায়াবেটিসের কারণে আমরা হারাব কর্মক্ষম ও সম্ভাবনাময় এক তরুণ যুবা প্রজন্মকে, যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক মন্দ প্রভাব গোটা জাতিকে স্থবির করে দেবে। ডায়াবেটিসের কারণে অন্ধত্ব, কিডনি ও হূদ্যন্ত্র বিকল হওয়া, পা কাটা যাওয়া হাজার হাজার রোগী নিজেদের কর্মক্ষমতা হারিয়ে, পরিবারের ও সমাজের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। তাই এখনই সময় এই ব্যাধিকে প্রতিহত করার, প্রতিরোধ গড়ে তোলার। আর এই প্রতিরোধ কেবল চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যসেবকদের কাজ নয়, এটি হবে একটি সামাজিক প্রতিরোধ।<br />
<br />
চিকিৎসার আগে প্রতিরোধ, কেন?<br />
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এক অভাবনীয় দ্রুততার সঙ্গে আমূল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম হয়ে যাচ্ছে শহর, শহর হয়ে যাচ্ছে বস্তি, জীবনযাত্রা পরিবর্তিত হচ্ছে দ্রুত, বাজার সংস্কৃতি ও প্রতিযোগিতা জন্ম দিচ্ছে নতুন নতুন স্ট্রেস বা চাপের। খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ, মানসিক গঠন, চাল-চরিত্র ও সংস্কৃতি পরিবর্তনের ধাক্কাগুলো এখানেই এসে লাগে বেশি। গবেষণাগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ডায়াবেটিস রোগের জন্য পারিবারিক ও জেনেটিক ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ হলেও তৃতীয় বিশ্বে পারিপার্শ্বিক কারণগুলোই হয়ে উঠছে মুখ্য। স্থূলতা, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, কায়িক শ্রমের অভাব, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, উত্তেজনা—এ সবই হচ্ছে ডায়াবেটিসের পারিপার্শ্বিক কারণ। অধিক ক্যালরিসমৃদ্ধ ও অধিক চর্বি-শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্থূলতা বাড়াচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খেলার মাঠের অভাব, বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা-স্পোর্টস-খেলাধুলার সংস্কৃতির বিলোপ, টেলিভিশন-কম্পিউটার গেম-ফেসবুককেন্দ্রিক শহুরে অলস জীবন, গাড়ি-লিফট-চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহারের প্রবণতা, ছেলেবেলা থেকেই অত্যধিক প্রতিযোগিতা ও মানসিক চাপ। গ্রামের শিশুদের ছেলেবেলার অপুষ্টি এবং বড় হয়ে শহরে অভিবাসনের পর অধিক পুষ্টির মন্দ চক্রও এখানে ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী। এই শিশু-কিশোরেরা তরুণ হতে না-হতেই পড়ছে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও হূদেরাগের ঝুঁকিতে। চল্লিশ না পেরোতেই আক্রান্ত হচ্ছে মারাত্মক সব রোগে। যে রোগগুলো আগে ৫০ বা ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে দেখা যেত, সেগুলো এখন ৩০-৪০ বছরের তরুণ যুবাদের আক্রমণ করছে। নষ্ট করে দিচ্ছে তাদের কর্মক্ষমতা ও সম্ভাবনাগুলো। গবেষকেরা বলেন, শতকরা ৫০ ভাগ ডায়াবেটিস ধরা পড়ার আগেই শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, যেমন—চোখ, কিডনি, হার্ট, স্নায়ু ইত্যাদিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। তাই ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই একে প্রতিরোধ করতে হবে। ডায়াবেটিসজনিত অকালমৃত্যু ও পঙ্গুত্বকে প্রতিরোধ করতে হলে গোড়ায় ঠেকানো ছাড়া বিকল্প নেই। আর শুধু জীবনযাত্রার একটুখানি পরিবর্তন, একটু সচেতনতা ও সদিচ্ছা শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করতে পারে।<br />
<br />
প্রতিরোধ, কীভাবে?<br />
ডায়াবেটিস রোগে প্রতিরোধ বলতে সুস্পষ্টভাবে তিন ধরনের বা তিনটি ধাপে প্রতিরোধ করার কথা বলা হয়। প্রথমটি হচ্ছে প্রাথমিক প্রতিরোধ বা প্রাইমারি প্রিভেনশন। অর্থাৎ রোগ হওয়ার আগেই একে প্রতিরোধ করা। রোগটি আদতে না হতে দেওয়া। এ জন্য চাই সামাজিক সচেতনতা। ছোটবেলা থেকেই সবুজ শাকসবজি, মাছ ও কম চর্বি-শর্করাযুক্ত খাদ্য গ্রহণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। ধূমপানের বিরুদ্ধে যেমন গণসচেতনতা গড়ে উঠেছে, তেমনিভাবে মন্দ খাদ্যাভ্যাসের বিরুদ্ধেও সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। শিশু, কিশোর ও বয়স্ক—সবার মধ্যেই কায়িক শ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। খেলার মাঠ ছাড়া কোনো স্কুল-কলেজ থাকতে পারবে না। পাড়ায় পাড়ায় চাই পার্ক বা খোলা জায়গা, চাই হাঁটার উপযোগী ফুটপাত, সর্বোপরি নিরাপদে হাঁটার পরিবেশ। এই সচেতনতা গড়ে তুলতে পাঠ্যপুস্তকে সঠিক জীবনাচরণ সম্পর্কে তথ্য অন্তর্ভুক্তি, মিডিয়ার ব্যবহার, শিক্ষক-ধর্মীয় নেতা-সামাজিক নেতাদের প্রশিক্ষণ, সমাজকর্মীদের সচেতন করে তোলা, সচেতনতা ক্যাম্প ইত্যাদির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রতিরোধের দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে দ্রুত রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রদান। রোগের লক্ষণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে অবগতি, কখন কেন রক্তের চিনি পরীক্ষা করা জরুরি, শনাক্তকরণ পরীক্ষার সহজলভ্যতা ও ব্যয় সংকোচন—এই বিষয়গুলো সেকেন্ডারি প্রিভেনশনের আওতায় পড়ে। <br />
চল্লিশ-পরবর্তী সব নাগরিকের অন্তত তিন বছর পরপর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা জরুরি। স্থূলতা, পারিবারিক ইতিহাস ইত্যাদি ঝুঁকি থেকে থাকলে বছরে একবার। গর্ভবতী হওয়ার পর অবশ্যই প্রতিবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে। সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা শুরু করলে অনেক জটিলতাই এড়ানো সম্ভব। তৃতীয় ধাপে আছে যাদের ইতিমধ্যে জটিলতা দেখা দিয়েছে তাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া ও আরও জটিলতা এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। ডায়াবেটিস নীরবে রোগীর চোখ, রক্তনালি, হার্ট, কিডনি, স্নায়ুতন্ত্র ও পদযুগলের ভয়ানক ক্ষতি করে থাকে। জটিল রোগীদের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা ও পুনর্বাসন করাও ডায়াবেটিস চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।<br />
<br />
আসুন, সবাই মিলে কাজ করি<br />
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা একটি সমন্বিত, সামাজিক পদক্ষেপ। সরকার, চিকিৎসক, কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারও একার পক্ষে কখনো এই বিপুল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সমাজের প্রতি স্তরে, পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পর্যন্ত—সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে একে প্রতিরোধ করার জন্য। আসুন, একটি সুস্থ, কর্মোদ্যম ও প্রাণবন্ত জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাই মিলে এই নীরব ঘাতকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি।</div></div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-56575425830727032262011-11-19T02:15:00.000-08:002011-11-19T02:15:09.455-08:00শ্বাসনালীতে কফ ও কাশির কারণ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><img height="140" src="http://www.shaptahik.com/v2/admin/pinformation/images/1321436586_DSC_9306.jpg" style="border: 1px solid #000000;" width="150" /> <br />
সর্দি-জ্বর কমন কোল্ড বাংলাদেশের অত্যন্ত পরিচিত রোগ। আমাদের দেশে সম্ভবত এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না যার বছরে অন্তত দু’একবার সর্দি জ্বর হয়নি। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ কিংবা অফিসপাড়ায় প্রায়ই হাঁচি দিতে থাকা অথবা নাকের পানি মুছতে থাকা লোকজন নজরে পড়ে। ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, চিকিৎসক-প্রকৌশলী আমরা কেউ এ রোগ থেকে মুক্ত নই। ফ্লু ভাইরাস প্রধানত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বাতাসের সাহায্যে ছড়ায়। অর্থাৎ ফ্লু আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যদি উন্মুক্ত স্থানে হাঁচি দেয় তাহলে এক মিটার বা এক হাতের মধ্যে থাকা সুস্থ ব্যক্তিটিও আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুতে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি বাতাসে হাঁচি-কাশি না দেয় তাহলে তার থেকে ভাইরাস ছড়ানোর কোনো সম্ভাবনাই থাকে না। এ ভাইরাস সুস্থ মানুষের নাক দিয়ে ঢুকে শ্বাসনালীর উপরের অংশে অবস্থান করে এবং এক-পাঁচ দিন কোনো রকম উপসর্গ ছাড়াই এখানে অবস্থান করে। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এটি শ্বাসতন্ত্রের নিচের অংশে গিয়ে মারাত্মক লক্ষণ যেমন মিউমোনিয়া প্রকাশ করে।<br />
সাধারণত সর্দিজ্বর বা ঠাণ্ডা লাগলে সবারই কমবেশি কিছুটা কাশি হয়। কখনো শুকনো, কখনো সামান্য কফও বের হয়। ফ্লু-জনিত বা গলায় সামান্য প্রদাহের কারণে কাশি তেমন অসুবিধার সৃষ্টি করে না, দু-চার দিন পর উপশম হয় এবং কাশির জন্য খুব বেশি ওষুধের দরকারও হয় না। কিন্তু কিছু রোগে কাশি একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দেয় এবং বেশ কয়েক দিন কাশি থাকে। কাশি রোগ নয়, কিন্তু রোগের উপসর্গ। এ জন্য সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে ওষুধ খেলে দীর্ঘমেয়াদী ভালো হয়ে যায়। শ্বাসনালীতে কফ ও কাশির কারণ সম্পর্কে সাপ্তাহিক-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত আলোচনা করছেন জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, কনসালটেন্ট ডা. মকছুদ আহমদ। <br />
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরিফুর রহমান<br />
সাপ্তাহিক : কফ কী?<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : কফ মানে Sputum। এটা শ্বাস নালীতে তৈরি এবং সেখান থেকে নিঃসৃত রস যা কাশির মাধ্যমে শ্বাসনালী থেকে বের হয়ে আসে তাকেই কফ বলা হয়।<br />
কাশি হচ্ছে যে কোনো বাইরের জিনিস শ্বাসনালীতে প্রবেশ করলে শরীরের Protective mechanism এর ফলে শ্বাসনালী তা কফের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়- এই প্রক্রিয়াকে কাশি বলা হয়।<br />
সাপ্তাহিক : কফ সাধারণত কেন হয়?<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : যে কোনো কারণে শ্বাসনালীতে ইনফেকশন বা Stimulation হলে কফের সৃষ্টি হয়। যেমন- Viral Infection, Bacterial infection ইত্যাদি।<br />
সাপ্তহিক : কফ কত প্রকারের হতে পারে?<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : কফ সাধারণত দুই ধরনের হতে পারে। যেমন ১. Dry Cough বা শ্লেষাহীন কফ ২. Productive Cough বা শ্লেষযুক্ত কফ।<br />
সাপ্তাহিক : বিভিন্ন প্রকারের কাশির লক্ষণগুলো কী কী?<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : ১. হাঁপানি বা অ্যাজমার কাশির লক্ষণসমূহ হচ্ছে শেষ রাতে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর বাড়ে।<br />
সাধারণত শুকনা কাশি বা Dry Cough হয়।<br />
মাঝে মাঝে জমাট বাঁধা শ্লেষ বের হয়ে আসে।<br />
২. COPD বা শ্বাসনালীর স্থায়ী বাধাজনিত কাশিÑ<br />
Pulmonary Emphysema- সাধারণত : শুকনা কাশি বা Dry Cough- শ্বাসকষ্ট-<br />
ব্রংকার্স্টিস Productive বা শ্লেষযুক্ত কফ কাশি হতে পারে।<br />
তাছাড়া এই প্রকারের কাশি সকাল বেলায় বেশি হয় ।<br />
ব্রক্লিএকটেটিস এর ক্ষেত্রে হলুদ হলুদ- পরিমাণে অনেক বেশি দুর্গন্ধ কাশি বের হয়ে আসে<br />
সাপ্তাহিক : কফ ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হলে কি কি জটিলতা তৈরি করতে পারে?<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : কফ ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হলে নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-<br />
১. নিউমোনিয়া<br />
২. ব্রক্লিএকটেটিস <br />
৩. টিবি<br />
ইত্যাদি শ্বাসনালীর রোগ হতে পারে ।<br />
সাপ্তাহিক : Respiratory Tract infection কি কাশি তৈরি করে।<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : Respiratory Tract infection দুই ধরনের-<br />
Upper respiratory tract infection & Lower respiratory tract infection <br />
উভয় ধরনের ওহভবপঃরড়হ ই-কাশি তৈরি করে তবে নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ বা খজঞও বেশি কাশি ও কফ তৈরি করে।<br />
সাপ্তাহিক : বিভিন্ন ধরনের কফের চিকিৎসাগুলো কী কী?<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : ১. বেশি বেশি কাশি কিন্তু কফ কম এই ক্ষেত্রে Cough suppressant বা Cough নিবারণ ওষুধ কার্যকরী।<br />
২. কম কম কাশি কিন্তু বেশি বেশি কফ হলে Cough expectorant বা কফ উত্তেজনক ওষুধ কার্যকরী-<br />
সাপ্তাহিক : নির্দিষ্ট ধরনের কফের জন্য নির্দিষ্ট ধরনের কফ সিরাপ সেবন করা কতটা জরুরি।<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : কফের চিকিৎসায় কফ সিরাপ জরুরি নয়- কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা করাই শ্রেয়।<br />
সাপ্তাহিক : কাশি বা কফ কি ছোয়াছে রোগ?<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : হ্যাঁ, কিছু কিছু কফ কাশি ছোয়াছে যেমন- Emphysema, Tuberculosis.<br />
কিছু কিছু কাশি ছোয়াছে নয় যেমন-Asthma, COPD-র কাশি।<br />
সাপ্তাহিক : কফের মাধ্যমে যাতে Infection ছড়াতে না পারে সে জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।<br />
ডা. মকছুদ আহমদ : কাশির সময় মুখে রুমাল, মাকস্ বা হাত ব্যবহার করুন। <br />
* যেখানে সেখানে থুথু ফেলবেন না <br />
* ব্যবহারের পর রুমাল কাপড় ও হাত পরিষ্কার করুন।<br />
ছবি : কাজী তাইফুর<br />
ডা. মকছুদ আহমদ<br />
এমবিবিএস ডিটিসিডি (ডিইউ)<br />
এফসিপিপি (ইউএসএ)<br />
বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ<br />
কনসালটেন্ট<br />
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী ঢাকা।<br />
(হৃদরোগে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত-এনআইসিভিডি, ঢাকা)<br />
চেম্বার :<br />
বাড্ডা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (প্রা.) লি.<br />
চ-১০৭/২, উত্তর বাড্ডা (প্রগতি সরণী)<br />
ঢাকা-১২১২। ফোন : ৮৮৫৭৮২৮-৩০<br />
মোবাইল : ০১৭৩১-৩৯৮৯৯২<br />
রোগি দেখার সময় :<br />
বিকেল ৫টা-৮টা</div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-58759061579262686612011-10-28T00:39:00.000-07:002011-10-28T00:39:33.789-07:00ভাতের মাড় বা ফ্যানের বহু গুণ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">অতি সহজলভ্য খরচবিহীন এই ভাতের মাড়কে আমরা নিম্নমানের জিনিস বিবেচনা করে ফেলে দেই। এটা ক্যালোরিসমৃদ্ধ সুষম খাবার বলে বিবেচনা করা যায়। ভাতের বাড় হলো চালের নির্যাস। এই নির্যাস ফেলে দিলে ভাতের কিছু থাকে না। তাই ভাতের মাড় ফেলে না দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। মনে রাখা দরকার খাবারে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে তা ফসফরাস শোষন ক্ষমতা-হ্রাস করে। আবার অধিক ফসফরাস সমৃদ্ধ খাদ্য ক্যালসিয়াম শোষনে বাধা দেয়। এতে ক্যালসিয়াম ঘাটতি হতে বাধ্য। তাই ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভারসাম্য রক্ষা করতে ভাতের মাড় অদ্বিতীয়। ভাতের মাড় ক্যান্সার প্রতিরোধক। এতে রয়েছে প্রোটিন, আঁশ ও ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। ভাতের মাড় কোষ্টকাঠিন্য দূর করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, শুধু তা-ই নয়, যাদের উচ্চ রক্সচাপ আছে তারা মাড় না ফেলে জাউ রান্না করে খাবেন। এতে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ কমায়। ভাতের মাড়ে অধিক পরিমাণে গ্লুকোজ আছে বিধায় রক্তে যথেষ্ট শর্করা সরবরাহ করে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। যাদের বিভিন্ন প্রকারের আলসার হওয়ার প্রবনতাথাকে তারা নিয়মিত ভাতের মাড়ে সামান্য লবন দিয়ে চামচে তুলে স্যুপের মতো খেলে এই প্রবণতা থাকে না। <br />
ভিটামিন ই নিয়ে এখন উন্নত বিশ্বে যথেষ্ট গবেষনা হচ্ছে। ভাতের মাড়ে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে আরো রয়েছে টোকোট্রাইনোল যা অত্যন্ত কার্য়কর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভাতের মাড়ের মধ্যে আরো একটি প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যাকে বলে Oryza Sative Linn । এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্টেরয়েড। প্রাকৃতিক স্টেরয়েড আমাদের দেহের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে। এখন বাজারে এই স্টেরয়েড বড়ি পাওয়া যায়। খেলোয়ার ও ক্রীড়াবিদরা তাদের মাংসপেশীকে শক্তিশালী ও অধিক কার্যক্ষম করতে এই বড়ি নিয়ে থাকেন। তবে এ বড়িতে কারো কারো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু ভাতের মাড় খেলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। <br />
চীন ও জাপানে ভাতের মাড় নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। ২০০৪ সালে চীনের বিজ্ঞানী মি. লিন মাড় ফেলা ও মাড় বিদ্যমান ভাত নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি গবেষণায় ভাতের মাড়ে জিংক, মেলেনিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও কপার এই ছয়টি উপাদান আবিস্কার করেছেন। ফেলে দেয়া ভাতের মাড়ে তিনি মেলেনিয়াম ২ গুণ, জিংক ৩, আয়রন ১০, ক্যালসিয়াম ৪, ম্যাঙ্গানিজ ১২ এবং কপার ৬ গুন পেয়েছেন। আরো কয়েকটি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, ভাতের মাড়ের অরাইজামোল মানবদেহের ক্ষতিকর LDL কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং HDL অপরিবর্তিত রাখে।<br />
জাপানে মেয়েরা ভাতের মাড় রূপচর্চায় ব্যবহার করে। মুখের ত্বকে ভাতের মাড় লাগালে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় বলে তরা এটা ব্যবহার করে। একটি বিদেশী পত্রিকা বলছে, তারা এক সমীক্ষায় দেখেছে ভাতের মাড় মানবদেহের মেলানিন ছড়িয়ে পড়তে দেয় না। মেলানিনের কারণে মানুষ ফর্সা, কালো বা শ্যামলা হয়। সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি দেহে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। আসুন, আমরা ভাতের মাড় ফেলা বন্ধ করে মাড় শুকানো ভাত খাই এবং সুস্থ থাকি। </div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-89039032425659525812011-10-14T22:12:00.001-07:002011-10-14T22:12:57.202-07:00যত বেশি ঘাম, তত বেশি সুস্থতা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="text-align: justify;"> ঘাম সবার জন্যই একটি বিরক্তিকর বিষয়। আবার অনেক সময় ঘামের মাধ্যমে কোঝা যায় আপনি কতটা পরিশ্রম করেছেন, কতটা ক্লান্ত। এর বেশি কখনোই হয়ত ঘাম নিয়ে এতটা ভাবা হয়নি। কিন্তু ঘাম নিয়েও আছে নানান অবাক করার তথ্য। ঘামের ধরন, উপকারিতা, উৎস সহ আরো অনেক মজার<span id="more-33710"></span> তথ্য জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এক দল গবেষক।</div><div style="text-align: justify;"> <strong>ভিন্নতা আছে নারী-পুরুষের ঘামানোর মধ্যে</strong><br />
নারী-পুরুষ পুরোপুরি ভিন্ন। তাদের দেহ গড়ন ভিন্ন, তাদের মানসিকতা ভিন্ন, তাদের খাদ্যাভাস থেকে শুরু করে ঘামানোর মাত্রাটা পর্যন্ত ভিন্ন।</div><div style="text-align: justify;"> গবেষকরা দেখেছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং সমবয়সী একজন নারী একই পরিমাণ কাজ, একই সময় ধরে করছে এবং পরিশ্রম একই পরিমাণ করেছে। কিন্তু তাদের তাদের ঘামানোর মাত্র ছিল ভিন্ন। সেই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ তার সমবয়সী নারীর তুলনায় চারগুণ বেশি ঘাম ঝড়িয়েছে। এই ভিন্নতার পেছনে হরমোন দায়ী বলে মনে করছেন গবেষকরা। তবে তারা এখনো এর নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাদের এই গবেষণার প্রতিবেদনটি কিছুদিন আগে ‘এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিওলজি’ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।</div><div style="text-align: justify;"> <strong>বেশি ঘাম, মানে সুস্থতা</strong><br />
অনেকেরই ধারণা, বেশি ঘামানো মানে অসুস্থতার লক্ষণ লক্ষণ। কিন্তু এই ধারণাটিকে ভুল বলে উড়িয়ে দিলেন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, ঘাম বেশি হওয়া মানে হলো আপনি পুরোপুরি ফিট আছেন। যত বেশি ঘাম, তত বেশি সুস্থতা।</div><div style="text-align: justify;"> এর কারণ হিসেবে গবেষকার বলেছেন, বেশি ঘামানোর মানে হলো আপনি বেশি কাজ করছেন। এর মানে হলো আপনার দেহ যারা কম ঘামায় তাদের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়। আর তাই দেহের ভেতরে জমে থাকা পানি ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে শরীরকে ঠাণ্ডা করে। এর মাধ্যমে পরিশ্রমের ফলে শরীরের তাপমাত্র বেরে গেলে, ঘাম তা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের ফিট রাখে। </div><div style="text-align: justify;"> <strong>পূর্বসূরিদের প্রভাবও আছে ঘামে</strong><br />
আপনি যদি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি ঘামান, তাহলে এতে আপনার কোনো হাত নেই। এর জন্য দায়ী আপনার বংশ।</div><div style="text-align: justify;"> কারণ, গবেষকদের মতে জন্মগতভাবেই মেজর হিস্টোকম্পাটিবেলিটি নামের একটি অনু ঘামানোর মাত্রা এবং ঘাম সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর এই অনুটি আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাই আমাদের মা-বাবার কাছ থেকে।</div><strong>অতিরিক্ত ঘাম</strong><br />
আমরা সাধারণত ঘামাই যখন আবহাওয়া অনেক উত্তপ্ত থাকে, অনেক পরিশ্রমের পর, ভয় পেলে অথবা ভারি কোনো কাপড় পরলে। কিন্তু অনেকেই আছে ওপরের কারণগুলো ছাড়াও অহেতুকই ঘামায়। দেখা যায় ঠাণ্ডা কোনো কক্ষে বসে থাকার পর ঘামছে কারো হাত, পা, মুখ বা বগল।<br />
<div style="text-align: justify;"> যদি এমনটা আপনার সঙ্গেও হয়, তাহলে বুঝতে হবে এটা একটা রোগ। চিকিৎসকদের ভাষায় একে বলে হাইপারহাইড্রোসিস। এই রোগে অধিকাংশ সময়েই মানুষ কোনো কারণ ছাড়াই ঘামায়। বিশেষ করে হাতের তালু, পায়ের তলা, বগেএবং মুখমন্ডলে অতিরিক্ত এই ঘামের উৎপত্তি হয়। যা অনেকের জন্যই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।</div><div style="text-align: justify;"> তাই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং ভবিষ্যতে বড় কোনো রোগ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। কারণ সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হলে এক সময় এই ঘামানোর রোগ পারকিনসনস এবং ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রূপও ধারণ করতে পারে।</div><div style="text-align: justify;"> <strong>ঘাম দুই ধরনের</strong><br />
ঘামেরও আছে ধরন। আমাদের দেহে দুই ধরনের ঘামের উৎপত্তি হয়ে থাকে। একটি হলো একরিন সোয়েট গ্ল্যান্ড, অপরটি অ্যাপোক্রিন সোয়েট গ্ল্যান্ড।</div><div style="text-align: justify;"> একদিন সোয়েট সোয়েট গ্ল্যান্ড হলো সাধারণ ঘাম, যা শরীর থেকে জমে থাকা পানি গুলো বের করে দেয়। একটানা কাজ বা ব্যায়াম করলে এই ঘাম শরীর থেকে নিঃসরিত হয়।</div><div style="text-align: justify;"> অন্যদিকে অ্যাপোক্রিন সোয়েট গ্ল্যান্ড হলো, লোমকুপ থেকে যে ঘম নিঃসরিত হয় তা। অর্থাৎ অতিরিক্ত গরমে অথবা দুশ্চিন্তা আমাদের মাথার ত্বক বা বগল ঘামলে যে ঘাম বের হয় তা হলো অ্যাপোক্রিন সোয়াট গ্ল্যান্ড।</div><div style="text-align: justify;"> বার্তা২৪ ডটনেট</div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-34788697859914562142011-10-14T22:11:00.000-07:002011-10-14T22:11:00.071-07:00সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পেয়ারা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr" style="text-align: left;"> <div style="text-align: justify;"> ফলের দোকানগুলোতে যে হারে দামি দামি বিদেশি ফল সাজানো থাকে, তাতে দেশি ফলের কদর নেই বলেই মনে হয়। অথচ দেশি অপেক্ষাকৃত সস্তা ফল পেয়ারাই মানবদেহের জন্য সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। আর এ তালিকার সবচেয়ে নিচে রয়েছে আনারস।<span id="more-33722"></span> সম্প্রতি এক গবেষণা শেষে ভারতের হায়দরাবাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন-এর বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="http://4.bp.blogspot.com/-MbetNTOTL-0/TpaJGWYXr4I/AAAAAAAABRI/9WhDzJYQzPQ/s1600/guava8.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" src="http://4.bp.blogspot.com/-MbetNTOTL-0/TpaJGWYXr4I/AAAAAAAABRI/9WhDzJYQzPQ/s1600/guava8.jpg" /></a></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;"> ভারতের বাজারে পাওয়া ১৪টি তাজা ফলে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অঙ্েিডন্টের মাত্রা জানতে বিজ্ঞানীরা এ গবেষণা চালান। এতে দেখা যায়, আপেল, কলা, আনারস, পেঁপে, আম, জাম, কাঁঠাল প্রভৃতি ফলের চেয়ে পেয়ারা বেশি পুষ্টিগুণ ও অ্যান্টি-অঙ্েিডন্ট সমৃদ্ধ।</div><div style="text-align: justify;"> পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, মানবদেহে বেশির ভাগ রোগের কারণ অ্যান্টি-অঙ্েিডন্টের অভাব। ক্যান্সার, বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহীনতাসহ মারাত্মক সব রোগের উৎপত্তি হয় এর অভাবে।</div><div style="text-align: justify;"> অ্যান্টি-অঙ্েিডন্ট দেহে কোষের সুরক্ষা করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাঁরা জানান, মানবদেহে অ্যান্টি-অঙ্েিডন্ট ওষুধ আকারে প্রয়োগ না করে অ্যান্টি-অঙ্েিডন্ট সমৃদ্ধ পেয়ারা খেলে তা অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে।</div><div style="text-align: justify;"> গবেষকদলের প্রধান ডা. ডি শ্রীরামুলু জানান, যেখানে ১০০ গ্রাম আনারসে ২২ মিলিগ্রাম অ্যান্টি-অঙ্েিডন্ট পাওয়া যায়, সেখানে ১০০ গ্রাম পেয়ারায় অ্যান্টি-অঙ্েিডন্টের পরিমাণ ৪৯৬ মিলিগ্রাম। মানবদেহে অ্যান্টি-অঙ্েিডন্টের ঘাটতি পূরণে ফলের পুষ্টিগুণের ওপর গবেষণা চালাতে গিয়ে অনেক ফলের মধ্যে তাঁরা পেয়ারাতেই সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অঙ্েিডন্ট খুঁজে পেয়েছেন। এ কারণেই রোগমুক্ত থেকে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য নিয়মিত পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।</div><div style="text-align: justify;"> সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।</div><div style="float: right; margin: 0px;"> <ins style="border: none; display: inline-table; height: 250px; margin: 0; padding: 0; position: relative; visibility: visible; width: 300px;"><ins id="aswift_0_anchor" style="border: none; display: block; height: 250px; margin: 0; padding: 0; position: relative; visibility: visible; width: 300px;"></ins></ins></div><div style="text-align: justify;"> কালের কন্ঠ</div></div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-29717020541309003602011-10-14T22:09:00.000-07:002011-10-14T22:09:09.736-07:00যকৃৎ প্রতিস্থাপন আর লাগবে না!<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr" style="text-align: left;"> <div class="alternativeCol justify cb oH mb10"> <div class="fL detailGallery twoCol mr20 mb10"> <div class="mb10"> <img alt="" class="mb10" src="http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2011-10-14-02-28-26-057387400-liver02.jpg" /> </div></div><div id="content" style="font-size: 18px; line-height: 24px;"> ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা নতুন এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। এ পদ্ধতিতে স্টেম সেল যকৃতে সক্রিয় কোষ তৈরি করবে। ফলে যকৃত্ প্রতিস্থাপনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ও এর বিপুল ব্যয় কমানো সম্ভব হবে। গত বুধবার একটি জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। <br />
স্যাংগার ইনস্টিটিউট ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে একদল গবেষক এ গবেষণা করেছেন। তাঁরা ত্বকের অংশ থেকে সংগৃহীত কোষকে বিশেষ পদ্ধতিতে পরিবর্তিত করে নতুন স্টেম সেল তৈরি করেছেন। এই স্টেম সেলই যকৃতে সক্রিয় কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। গবেষকেরা ইঁদুরের ওপর এ পরীক্ষা করে সফল হয়েছেন। <br />
স্যাংগার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যালান ব্রাডলি বলেছেন, ‘রোগীর শরীরের ত্রুটিপূর্ণ জিনকে উদ্দেশ করেই এ পদ্ধতি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এটা আমাদের প্রথম ধাপ। কিন্তু যদি এ কৌশল পুরোপুরি চিকিত্সার জন্য নেওয়া হয় তাহলে রোগীদের জন্য আরও ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে।’<br />
শরীরের প্রধানতম কোষ হলো স্টেম সেল। আর এই স্টেম সেলই হচ্ছে শরীরের অন্য সব কোষের মূল উত্স। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর মাধ্যমে অন্ধত্ব, মেরুদণ্ডের সমস্যা ও অন্যান্য স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত কোষের চিকিত্সা সম্ভব হবে।<br />
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাডভান্সড সেল টেকনোলজির রবার্ট লানজারের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল চামড়া বা রক্ত থেকে প্রাপ্ত স্টেম সেল (আইপিএস) এবং ভ্রূণ থেকে প্রাপ্ত স্টেম সেলের মধ্যে তুলনামূলক গবেষণা করে বলেছে, আইপিএস সেল খুব তাড়াতাড়ি মরে যায়। আর এটার বৃদ্ধিও খুব ধীরে হয়। <br />
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুডোভিক ভেলিয়ার বলেছেন, ‘প্রথম পদক্ষেপেই আমরা সেল থেরাপির মাধ্যমে যকৃতের সমস্যা সমাধান নিয়ে কাজ করেছি। এটাকে সফল করতে আমরা এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আছি।’<br />
গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা যদি এ ক্ষেত্রে সফল হন তাহলে লিভার প্রতিস্থাপন জটিলতা ও ব্যয়ভার এবং সারা বছর ওষুধ নেওয়ার ঝামেলা অনেক কমে যাবে। <br />
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক দলের সদস্য ডেভিড লোমাস বলেছেন, ‘আমরা যদি যকৃতে নতুন কোষ তৈরির জন্য রোগীর নিজের চামড়া কোষ থেকেই নিতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে যকৃত্ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা প্রতিরোধ করা যাবে।’ রয়টার্স। prothom-alo</div></div></div></div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-23735682567471504482011-10-14T22:06:00.000-07:002011-10-14T22:06:53.956-07:00'চকলেট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়'<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="http://2.bp.blogspot.com/-HzuzGVWeI-8/TpkUjy5ndZI/AAAAAAAAAHc/1-w7rO7phY4/s1600/chocolate.png" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="256" src="http://2.bp.blogspot.com/-HzuzGVWeI-8/TpkUjy5ndZI/AAAAAAAAAHc/1-w7rO7phY4/s320/chocolate.png" width="320" /></a></div>যারা চকলেট বেশি খায় তাদের স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কম বলে জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষক। প্রায় ৩৩ হাজারেরও বেশি নারীর ওপর জরিপ চালিয়ে তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেন। <br />
<br />
জার্নাল অব দি আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজিতে এ জরিপভিত্তিক এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। <br />
<br />
হৃদপিন্ডের সুস্থতার সঙ্গে কোকোয়া গ্রহণের সম্পর্ক বিষয়ে আরো প্রমাণ জড়ো করেছে এ গবেষণাটি। তবে অধিক পরিমাণে চকলেট খাওয়ার ব্যাপারে অবাধ অনুমতি দেন নি গবেষকরা। <br />
<br />
স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইন্সস্টিটিউটের সুজানা লারসন বলেন, চকলেট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়- এ গবেষণায় তা পুরোপুরি প্রমাণিত হয় নি। তবে স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে এর কিছু উপকারিতা রয়েছে বলে আমরা মনে করি। <br />
<br />
অত্যাধিক চকলেট খাওয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি জানিয়ে তিনি বলেন, চকলেটে চর্বি ও চিনি থাকায় এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরিও রয়েছে। তবে মিল্ক চকলেটের তুলনায় কোকোয়ার পরিমাণ বেশি এবং চিনি ও চর্বি কম থাকায়, ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী হয়। <br />
<br />
এ গবেষণাটিতে ১৯৯৭ সালে ৪৯ থেকে ৮৩ বছর বয়সী নারীদের চকলেট খাওয়ার হার বিষয়ক উপাত্ত ব্যবহার করা হয়। এর পরবর্তী দশকে ওই জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৫৪৯টি স্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। জরিপে দেখা গেছে, যারা তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে চকলেট খেয়েছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ততোই কমেছে। <br />
<br />
এদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪৫ গ্রাম চকলেট গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে বছরে গড়ে প্রতি ১ হাজার জনের মধ্যে ২ দশমিক ৫টি স্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। যারা সপ্তাহে ৮ দশমিক ৯ গ্রাম চকলেট গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে এ হার ছিলো প্রতি বছর ১ হাজার জনের মধ্যে ৭ দশমিক ৪টি। <br />
<br />
গবেষকরা বলছেন, চকলেটের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড নামের উপাদান, যা ফ্ল্যাভোনইস নামেও পরিচিত, স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাবই বেশি। <br />
<br />
লারসন বলেন, রক্তচাপ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তে হৃদপিন্ডের সুস্থতার জন্য দরকারী উপাদানগুলোর সঙ্গে ফ্ল্যাভোনয়েড সম্পর্কিত। তবে এ তথ্যটি এখানো ধারণার পর্যায়ে রয়েছে, এ বাস্তবতা সম্পর্কে আরো গভীর ও বিস্তৃত গবেষণা প্রয়োজন। <br />
<br />
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/</div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-60989677507591670102011-10-14T21:53:00.000-07:002011-10-14T21:53:30.175-07:00বয়স্ক নারীদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায় ভিটামিন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ভিটামিনের কথা উঠলে মনে হতে পারে বেশি বেশি ভিটামিন খাওয়া হয়তো ভালো। কিন্তু গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন অন্য ব্যাপার। বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে ভিটমিনের ব্যবহার মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায় বলে দাবি করছেন তারা। <br />
<br />
যারা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে ভিটামিন শুধু তাদের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা এবং অতিরিক্তি ভিটামিন খাওয়া ক্ষতির কারণও হতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। <br />
<br />
সাধারণত পুষ্টিমান ঠিক থাকা সত্ত্বেও পঞ্চাশ ও ষাটের কোঠার অনেক নারীই ভিটামিন খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। <br />
<br />
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষত মাল্টিভিটামিন, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার ও আয়রন মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। <br />
<br />
গবেষকদের বিশ্বাস, ভিটামিন খেলে উপকার হবে এমন কোন প্রমাণ ছাড়াই ভোক্তারা ভিটামিন কিনে থাকে। <br />
<br />
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ইস্টার্ন ফিনল্যান্ডের গবেষক ড. জাকো মুরসু ও তার সহকর্মীরা। <br />
<br />
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ হাজার নারীর ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে যারা গত দু'দশকে ভিটামিন এবং মিনারেল গ্রহণ করেছেন। <br />
<br />
এতে দেখা গেছে, অন্যান্য ভিটামিনের তুলনায় আয়রন ট্যাবলেট খেলে মৃত্যুঝুঁকি ২ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ে। তবে এটি নির্ভর করে ট্যাবলেটের ডোজের ওপর। বেশি ডোজের আয়রন ট্যাবলেটের ঝুঁকিও বেশি। <br />
<br />
অন্যদিকে, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট মৃত্যুঝুঁকি কমায়। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অযথা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া উচিত না বলে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। <br />
<br />
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম</div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7067823967872758271.post-71781214004989170292011-10-14T21:51:00.000-07:002011-10-14T21:51:11.565-07:00যুক্তরাষ্ট্রে স্থুলতার হার কমছে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের মুটিয়ে যাওয়ার হার সামান্য হলেও কমতে শুরু করেছে। বাড়ছে স্বাভাবিক ওজনের মানুষের সংখ্যা। <br />
<br />
মাত্রাতিরিক্ত ওজন ও স্থূলকায় মার্কিনির সংখ্যা এখনো অনেক বেশি হলেও গত বছর স্বাভাবিক ওজনের মানুষের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে- এমনটিই দেখা গেছে নতুন এক গবেষণায়। <br />
<br />
গ্যালাপ-হেলথওয়জ ওয়েল-বিয়িং ইনডেক্স পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছর তৃতীয়ার্ধে স্বাভাবিক ওজনের মার্কিনির সংখ্যা ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ। আগের বছর এ হার ছিল ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ। <br />
<br />
সংস্থাটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে মোটা মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি। <br />
<br />
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এ সংখ্যা সামান্য হলেও কমতে শুরু করেছে। এক বছর আগে অতিরিক্ত ওজনধারী মার্কিনির সংখ্যা ৩৬ দশমিক শূন্য থেকে এ বছর কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৮ এ। আর মোটার হার গত বছরের ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ। <br />
<br />
গবেষণায় বলা হয়েছে, "বেশিরভাগ মার্কিনি এখনো অতিরিক্ত ওজনধারী কিংবা মোটা হলেও স্থূলতার হার কমে আসার এ লক্ষণ শুভ।" <br />
<br />
গবেষণায় এর কারণ সুষ্পষ্টভাবে ব্যখ্যা করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই এই পরিবর্তন ঘটছে। <br />
<br />
যুক্তরাষ্ট্রে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকেই রেস্টুরেন্টে উচ্চমাত্রার ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার বদলে তুলনামূলক কম খরচে খাওয়া-দাওয়া করছে। <br />
<br />
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/</div>মমরানীhttp://www.blogger.com/profile/03554211244805025411noreply@blogger.com0