Total Pageviews

Thursday, January 5, 2012

শীতে বাতের সমস্যা

রওশন আরা রওশন আরা
মেডিসিন ও বাতরোগ বিশেষজ্ঞ, গ্রীন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ, গ্রীনরোড, ঢাকা।

সমস্যা: আমার মায়ের বয়স ৭০ বছর। হাঁটু ও অন্যান্য সন্ধিতে ব্যথা করে। তবে শীতকালে ব্যথায় প্রায় অচল হয়ে পড়েন। গরম সেঁক, ব্যথার ওষুধ খেলে একটু উপশম হয়, কিন্তু এ সময় তিনি প্রায় চলৎশক্তিহীন থাকেন। এমনটি কেন হয় এবং কীভাবে শীতে একে প্রতিরোধ করা যায়।
নাজমা
পাবনা।
পরামর্শ: আপনার মা সম্ভবত অস্টিওআর্থ্রাইটিসে (বয়সজনিত বাত) ভুগছেন। শীতে সব বাতব্যথাই বেশি অনুভূত হয়। কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল, গরম কাপড় ও হাত-পায়ে মোজা পরাতে পারেন। অস্টিওআর্থ্রাইটিস পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়। তবে ওজন বেশি হলে কমিয়ে, হাঁটুর ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ থেকে বিরত থেকে এবং নিয়মিত কিছু হাঁটুর ব্যায়াম করে অপেক্ষাকৃত ভালো থাকা সম্ভব। প্রয়োজনে ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন। এ ছাড়া তাঁর শরীরে অন্য কোনো বাত আছে কি না, তা দেখার জন্য বিস্তারিত ইতিহাস ও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারলে ভালো হয়।
সমস্যা: আমার বয়স ৪২। কিছুদিন আগে হঠাৎ হাতের বুড়ো আঙুলের সন্ধি ফুলে যায়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে বললেন, ইউরিক এসিড বেড়েছে এবং এসলোরিক ট্যাবলেট খেতে দিলেন। শুধু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ওষুধ না খেয়ে কি ইউরিক এসিড কমানো সম্ভব? উল্লেখ্য, আমার ইউরিক এসিড ছিল ৮ দশমিক ২ মিলিমোল।
শামসুজ্জামান
নীলক্ষেত, ঢাকা।
পরামর্শ: বর্তমানে ইউরিক এসিড কমানোর জন্য ব্যাপক খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন নির্দেশিত নয়। শুধু লাল মাংস (গরু/খাসি) ও সামুদ্রিক মাছ কম খেতে হবে। তবে প্রথমবার আক্রান্ত হলেই সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি এসলোরিক ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের ওপরও ওষুধ সেবনের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে। এ বিষয়ে তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো।
সমস্যা: আমি একটি কম্পিউটার গ্রাফিক্স ফার্মে কাজ করি। সারা দিন কম্পিউটারের সামনে বসতে হয়। রাতে ফেরার পর প্রায় প্রতিদিনই ঘাড়ে ব্যথা ও টন টন করে। ইদানীং এটি বেড়েছে। আমার কী করা উচিত?
জিল্লুর রহমান
উত্তরা, ঢাকা।
পরামর্শ: আপনার অফিসের কম্পিউটার এবং চেয়ারের উচ্চতা ও দূরত্ব এমনভাবে পরিবর্তন করতে হবে যেন কাজ করার সময় ঘাড়ে চাপ কম পড়ে। দীর্ঘ সময় একইভাবে কাজ না করে মাঝেমধ্যে স্বল্প সময়ের জন্য বিরতি নিয়ে ঘাড় ও পিঠের স্ট্রেচিং করবেন। এ ছাড়া নিয়মিত ঘাড়ের ব্যায়াম করলেও উপকার পাবেন। পরামর্শ দিয়েছেন: রওশন আরা প্রথম আলো

সুখে কাটুক শীত

  • শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত দৌড়ান শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত দৌড়ান
1 2
শীতের এ সময়টা কিন্তু বড় সুখের। ফল আর পিঠাপুলির আমেজে দিনগুলো পার করতে চাইলে সুস্থ থাকাটা যে খুব জরুরি। আর তাই জেনে নিন কেমন করে এড়াবেন শীতের রোগবালাই

একটু সতর্কতা
শীতের রোগজীবাণুগুলো এ সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে একজন থেকে আরেকজনে। কীভাবে ছড়ায় জীবাণুগুলো? এ খুব সহজ কথা। সংক্রমিত মানুষের হাত থেকে জীবাণুগুলো আটকে থাকে টেবিলে, টেলিভিশনের রিমোটে, কম্পিউটারের কি-বোর্ড কিংবা বাসের হাতলে। কোনো সুস্থ মানুষ এসব জায়গায় হাত দিলে জীবাণু চলে আসে তার হাতে। তারপর হাত থেকে শরীরে এবং শেষে মুখে ঢুকলেই বিপত্তি। তাই এ সময়টা সংক্রমিত লোকের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করা থেকে বিরত থাকুন। আর কিছুক্ষণ পরপর ধুয়ে ফেলুন হাত দুখানা।

দৌড়াতে হবে
শীতের দিনগুলোতে ঠান্ডা আমেজে আলস্য এসে ভর করে। আলসেমিকে পাত্তা না দিয়ে দৌড়াতে বের হোন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী-পুরুষ সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন জোরে হাঁটেন ৪৫ মিনিট করে, তাঁদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অনেক কম। তবে শীতের সকালে দৌড়াতে বেরোলে গরম কাপড় সঙ্গে নিন।

হেঁশেলের যত্ন
রান্নাঘরের সুরক্ষায় একটু বাড়তি যত্নই নিন। এই ঘর থেকেই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের খাবার আসে টেবিলে। তাই খাবারের সঙ্গে যেন জীবাণু না এসে যায়, এ জন্য চাই বাড়তি সতর্কতা। প্লেট, গ্লাস আর সিংক ধোয়ার স্পঞ্জ কিংবা কাপড়টি প্রতিদিন মাইক্রোওয়েভে দুই মিনিট গরম করে নিন। এ পদ্ধতিতে প্রায় ৯৯ শতাংশ জীবাণু ধ্বংস করা যায়। আর সতর্কতা হিসেবে স্পঞ্জ, কাপড়ের টুকরা মাইক্রোওয়েভে ঢোকানোর আগে ভিজিয়ে নিন। অন্যথায় ফায়ার সার্ভিসকে ডাকতে হতে পারে!

খাওয়া, ব্যায়াম আর ঘুম
শীতে মেলে প্রচুর সবজি। খেতেও হবে। আর মৌসুমি ফলের রসে গলা ভিজিয়ে নিন সুযোগ পেলেই। হালকা ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত। ব্যায়াম একদিকে যেমন কর্মক্ষমতা বাড়াবে, অন্যদিকে মুখেও ফিরিয়ে দেবে রুচি। আর দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। এসব কিছুর মিশেলে শরীরে তৈরি হবে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। দূরে থাকবে রোগ, শীত কাটবে আরামে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার  প্রথম আলো

জলবসন্তের বিস্তাররোধে সূর্যালোক!

সূর্যের আলো জলবসন্ত ছড়িয়ে পড়া রোধে সহায়ক পারে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গবেষণা করে দেখেছেন, যেসব এলাকায় অতিবেগুনী রশ্মির (আলট্রা ভায়োলেট) মাত্রা বেশি সেসব এলাকায় জলবসন্তের প্রকোপ কম।

‘ভিরোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

সূর্যালোক কিভাবে জলবসন্তের বিস্তাররোধে সহায়ক হতে পারে তার ব্যাখ্যায় গবেষকরা বলছেন, চামড়ায় থাকা ভাইরাসগুলো সূর্যের আলোয় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তে পারে। ফলে এগুলো অন্যের দেহে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

তবে অন্যান্য গবেষকেরা তাপমাত্রা, আদ্রতা ও এমনকি জীবনযাত্রার মানসহ আরো বেশ কিছু নিয়ামকের কথা উল্লেখ করেছেন। জলবসন্তের প্রকোপ ঠেকাতে এগুলোরও সমান ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

জল বসন্তের জন্য দায়ী ভ্যারিসেলা-জোস্টার ভাইরাসটি খুবই সংক্রামক। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এ ভাইরাস মূলত হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। শরীরে জলযুক্ত গুটি ও দাগের উপস্থিতি এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।

অতিবেগুনী রশ্মিতে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার নজির দীর্ঘদিনের। লন্ডনের সেন্ট জর্জেস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডক্টর ফিল রাইস মনে করেন, ক্রান্তিমণ্ডলীয় দেশগুলোতে জলবসন্ত কম হওয়া এবং তা কম ছড়ানোর কারণ এটিই।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/

‘ক্লান্তি কমাবে যোগ ব্যায়াম’

স্তন ক্যান্সার থেকে আরোগ্যলাভকারীদের ক্লান্তি কমাতে পারে যোগ ব্যায়াম। স¤প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।

স্তন ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়ার পর এক তৃতীয়াংশ নারীই ক্লান্তিতে ভোগে। আর এ ক্লান্তি তাদের জীবনের গুণগতমানের ওপর প্রভাব ফেলে।

তবে গবেষণায় দেখা যায়, যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্ষয় হওয়া জীবনীশক্তি অনেকাংশেই ফিরে পাওয়া সম্ভব।

ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ছোট একটি গবেষণা করা হয়। এতে স্তন ক্যান্সার থেকে আরোগ্য হওয়া ৩১ জন নারীকে তিনমাস ধরে সপ্তাহে দুই দিন যোগ ব্যায়াম করানো হয়।

যোগ ব্যায়ামের পর দেখা যায়, তাদের মধ্যে ক্লান্তি কমে প্রাণশক্তি বাড়ছে। যোগ ব্যায়ামের ক্লাসে যাওয়া ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়াদের মধ্যে ২৬ শতাংশ ক্লান্তি কমেছে এবং ৫৫ শতাংশ প্রাণশক্তি বেড়েছে।

এদিকে আরেক দলকে শুধু ক্যান্সারপরবর্তী স্বাস্থ্য বিষয়ক ক্লাস করানো হয়। এর ফলাফলে দেখা যায়, ওই দলের ক্লান্তি বা অবসাদের মাত্রায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।

ক্যান্সার নামের একটি জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/

স্মৃতিভ্রংশ প্রতিরোধ করতে পারে খাদ্যাভ্যাস

ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও মাছ স্মৃতিভ্রংশ রোগ বা মস্তিস্কের বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। অন্যদিকে, টুকিটাকি খাবার বিপরীত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

স্নায়ুবিজ্ঞান সম্পর্কিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বয়স্ক লোকের রক্তে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড আছে তাদের মস্তিস্ক সংকোচনের পরিমাণ কম এবং মানসিক সামর্থ্য অনেক বেশি থাকে।

অন্যদিকে, রক্তে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকলে মস্তিক সংকোচনের পরিমাণ বেশি হয়। সাধারণত কেক, বিস্কুট ও ভাজা খবারসহ প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার বা ফাস্ট ফুডে ট্রান্স ফ্যাট থাকে।

তাই স্মৃতিভ্রংশ বা আলঝেইমার প্রতিরোধে গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, প্রচুর ফলমুল ও শাক-সবজিসহ সুষম খাবার খাওয়া, ধূমপান না করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং নিয়মিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা পরিমাপ করা।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, যুক্তরাজ্যের ‘আলঝেইমার’স রিসার্চ’ নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

গবেষণায় ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে সরাসরি প্রশ্ন না করে তাদের রক্তের পুষ্টিমান যাচাই করা হয়েছে।

স্মৃতিভ্রংশ গবেষণা কর্মসূচির প্রধান গবেষক ডা. সিমন রিডলে বলেছেন, “এ রোগের ওপর খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব নিরূপণ করতে আরো প্রমাণ প্রয়োজন এবং এক্ষেত্রে বড় পরিসরে ও দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করলেই তা সম্ভব।”

বিবিসি জানায়, আলোচ্য গবেষণায় গড়ে ৮৭ বছর বয়স্ক ১০৪ জন ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করে গবেষণার ফল নিরূপণ করা হয়েছে।

বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, মনোভাবের পরিবর্তন এবং যোগাযোগ ও কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ে ব্যার্থতাই স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Facebook Themes