‘চুল পাকিলেই হয় না বুড়ো…’ – এ কথা কি আর সবাইকে বোঝানো যায়! বোঝানো গেলে তো আর বেরসিকের মতো ধূসর কিংবা সাদা হয়ে ওঠা চুল ঢাকতে হতো না কলপ আর টুপি দিয়ে। আবার চুলকেও তো পাকতে না করার উপায় নেই-’পাকামো’ সে করবেই। কিন্তু চুলের এ পাকামো ঠেকাতে এবার মোক্ষম উপায় বের করেছেন গবেষকরা চুল কেন পেকে যায় অর্থাৎ চুলের রং ধূসর বা সাদা হয়ে ওঠার প্রকৃত কারণটি খুঁজে বের করেছেন তাঁরা। গবেষকরা বলছেন, এবার চুলের পেকে যাওয়া তো ঠেকানো যাবেই, পেকে যাওয়া চুলের রং আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়াও খুব কঠিন হবে না।
জীববিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সেল-এ সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা চুল পেকে রং বদলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে কয়েকটি গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষক অধ্যাপক মায়ুসি ইতো জানিয়েছেন, এত দিন শুধু জানা ছিল, মাথার ত্বকে ফলিকল ও মেলানোসাইটস নামের কোষ চুলের রঙের জন্য দায়ী। এর মধ্যে মেলানোসাইটসই মূলত চুলের রং উৎপাদনের কাজটি করে। তবে ঠিক কী কারণে বা কী প্রক্রিয়ায় চুল পেকে এর রং বদলে ধূসর বা সাদা হয়ে যায়, তা জানা ছিল না। গবেষণায় ‘ডবি্লউএনটি’ নামের একটি প্রোটিনের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা মেলানোসাইটসকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে চুলের রঙের তারতম্য ঘটায়।
গবেষক মিস মায়ুসি জানিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন, ডবি্লউএনটি প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পেকে রং ধূসর ও সাদা হতে শুরু করে। ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ প্রোটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে চুলের রং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, চুলের রং বদলে যাওয়ার প্রকৃত কারণটি এবার জানা সম্ভব হওয়ার ফলে এর কার্যকর সমাধানও পাওয়া যাবে। এ আবিষ্কারের দরুণ চুলের রং ধরে রাখার ক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ, লোশন, শ্যাম্পু ইত্যাদি তৈরি করা সম্ভব হবে।সূত্র: দ্য ডেইলি মেইল ও টেলিগ্রাফ অনলাইন।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment