Total Pageviews

Wednesday, June 22, 2011

প্রস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধি পাওয়া জনিত সমস্যা

ডা. জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া
প্রস্টেট গ্রন্থি পুরুষের দেহের একটি accessory sex orgen. জন্মের সময় এটা খুব ছোট থাকে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটা বড় হতে থাকে। পুরুষের বীর্যের একটি অংশ এই গ্রন্থি থেকেই নিঃসৃত হয়। তবে প্রস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধির জন্য যে প্রস্রাবের কষ্ট শুরু হয় তা সাধারণত চল্লিশোর্ধ বয়সেই হয়ে থাকে। এৰেত্রে Sir Benjamin-G-এর একটি উক্তি


“When hair becomes gray and scanty, when speaks of earthy matter begin to be deposited in the tunics of the artery and when a white zone is formed at the margin of the cornea, at the same period the prostate gland usually- I might perhaps say invariably- becomes incresed in size.
ষাট বছরের মধ্যে প্রায় অর্ধেক পুরম্নষের প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি ঘটে। এর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে হরমোনাল ইমবেলেন্স অথবা নিউপস্নাস্টিককে দায়ী করা হয়। প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া প্রস্টেট বৃদ্ধির কারণে ঘটতে পারে অথবা মূত্রথলির মাংসের ঠিকভাবে কাজ না করতে পারাও হতে পারে। এ ছাড়াও মূত্রনালী সরু হওয়া (ঝঃৎরপঃঁৎব ঁৎবঃযৎধ), মূত্রথলীতে পাথর (ঠবংরপধষ পধষপঁষঁং), মূত্রথলী ও মূত্রনালীতে প্রদাহের (ওহভবপঃরড়হ)কারণে । কাজেই এ থেকে বোঝা যায় যে বয়স্ক মানুষের প্রস্রাবের কষ্ট হলেই প্রস্টেট বৃদ্ধি ঘটেছে এমনটি নাও হতে পারে। কাজেই এ ব্যাপারে ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক।
প্রস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধি দুই রকম :
১। ভাল প্রদাহ (ইবহরমহ)
২। ক্যান্সার (গধষরমহধহঃ


প্রস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধিকালে প্রস্রাবের যে ধরনের কষ্ট হয় তা নিম্নরূপ :
১। বার বার প্রসাব হওয়া (ওহপৎবধংব ঋৎবয়ঁবহপু)
২। রাতের বেলায় বেশি প্রস্রাব হওয়া (ঘড়পঃঁৎরধ)
৩। প্রস্রাবের বেগ হলে আটকে রাখতে না পারা (টৎমবহপু)
৪। প্রস্রাবের শুরম্নতে প্রস্রাব শুরম্ন করার জন্য দেরি হওয়া (ঐবংরঃধহপু)
৫। প্রস্রাব সরম্ন হওয়া ও গতি কমে যাওয়া (চড়ড়ৎ ভষড়)ি
৬। ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়া (উৎরননষরহম)
৭। প্রস্রাব করার পরও মনে হবে প্রস্রাব রয়ে গেছে (ঝবহংধঃরড়হ ড়ভ ঢ়ড়ড়ৎ নষধফফবৎ বসঢ়ঃুরহম)
৮। প্রস্রাব আটকে যাওয়া (অপঁঃব ড়ৎ পযৎড়হরপ ৎবঃবহঃরড়হ ড়ভ ঁৎরহব)
পরীৰাসমূহ
সাধারণ পরীৰার সঙ্গে কয়েকটি বিশেষ পরীৰা প্রয়োজন। যেমন_
১।
ইউরোফ্লোমেট্রি
২। আলট্রাসনোগ্রাম (কটই ৎবমরড়হ)
৩। এঙ্-রে কিডনি, ইউরেটার ও বস্নাডার রিজিয়ন
৪। ইউরোডায়নামিক (মাঝে মাঝে)
৫। রক্তে পিএসএর পরিমাণ।
তবে এ সমসত্ম পরীৰা অবশ্যই একজন ইউরোলজিস্টকে দেখিয়ে করা উচিত।
চিকিৎসা না করলে কি হবে
ঠিকভাবে প্রস্রাব করতে না পারলে তার পুরো প্রেসারটাই পেছনের দিকে যেয়ে মূত্রনালী ও পরবতর্ীতে কিডনিতে পড়ে, যার জন্য কিডনি বড় হয়ে যায় ও আরও দেরি করলে কিডনি আংশিক এবং পরবতর্ীতে পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়।
তাছাড়া ইনফেকশন, পাথর হওয়া, রক্ত যাওয়া ও অন্য অনেক অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা
প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হলেই চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না। চিকিৎসা উপসর্গের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন স্কোর করা হয়েছে।
১।
প্রাথমিক (স্কোর ০-৭)
নিরীৰণপূর্বক দেরি (ডধঃপযভঁষ ধিরঃরহম)
২। মধ্যম (স্কোর ৮-১৯)
ওষুধ যেমন_ টেমসোলসিন, আলফাজসিন ও অন্যান্য।
৩। বেশি (স্কোর ২০-৩৫)
সার্জারি
সার্জারি বিভিন্ন রকম যেমন_
১. ঞৎধহংঁৎবঃযৎধষ ৎবংবপঃরড়হ ড়ভ ঢ়ৎড়ংঃধঃব (ঞটজচ)
২. ঞৎধহংঁৎবঃযৎধষ ওহপরংরড়হ ড়ভ চৎড়ংঃধঃব (ঞটওচ)
৩. খধংবৎ
৪. ঙঢ়বহ ঙঢ়বৎধঃরড়হ.
বর্তমানে বাংলাদেশে শতকরা ৯৯ ভাগ অপারেশনই যন্ত্রের সাহায্যে করা হয়। পেট কাটার কোন প্রয়োজন হয় না। কাজেই প্রস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধি হলে অথবা প্রস্রাবের কোন কষ্ট অনুভব করলে একজন ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন নতুবা যা সামান্য চিকিৎসায় সেরে যেত তা আপনার জন্য একদিন কিডনি বিকল হওয়ার মতো রোগ বয়ে আনতে পারে।
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
ইউরোলজি বিভাগ, এনআইকেডিইউ

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Facebook Themes