অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
য় অনেক পুরুষের মাথায় হয় টাক। বিরলকেশ পুরুষ অনেকে মনে করে মাথায় টুপি পড়লে বা বেস্নাড্রায়ার ব্যবহার করলে এমন হতে পারে। সত্যি নয় কথাটা। কোন প্রমাণ নেই এর পৰে। পুরম্নষালি কেশহানির কারণ হলো : কেশবৃন্তগুলো ক্রমে ছোট হতে থাকে; ফলে হ্রস্ব, সূক্ষ্ম কেশ হতে পারে, ক্রমে ক্রমে কেশপতন।
য় অনেক পুরুষের মাথায় হয় টাক। বিরলকেশ পুরুষ অনেকে মনে করে মাথায় টুপি পড়লে বা বেস্নাড্রায়ার ব্যবহার করলে এমন হতে পারে। সত্যি নয় কথাটা। কোন প্রমাণ নেই এর পৰে। পুরম্নষালি কেশহানির কারণ হলো : কেশবৃন্তগুলো ক্রমে ছোট হতে থাকে; ফলে হ্রস্ব, সূক্ষ্ম কেশ হতে পারে, ক্রমে ক্রমে কেশপতন।
য় শৌর্যবীর্য তো পুরুষের না থাকলে হয়? অনেকে মনে করেন যেসব পুরম্নষ ব্রিক (অনত্মর্বাস) পরেন তাদের খর্ব হয় এই পৌরুষ। দীর্ঘ সময় উত্তাপে শুক্রকণিকার সংখ্যা যায় কমে, এর পৰেও কোন প্রমাণ নেই। সবই কল্পকথা।
য় দাড়ি যত শেভ করবেন তত বেশি ঘন হবে দাড়ি। এও অনেকের ধারণা। আমাদের কেশবৃনত্মগুলোর আকার আয়তন চুলের ঘনভাব ও সংযুক্তি নির্ণয় করে লোম বা চুল মনে হতে পারে কর্কশ। তবে শেভ করলে কেশবৃনত্ম পরিবর্তন হয় না। তাই বার বার শেভ করলে ঘন হবে কেন দাড়ি?
য় দাড়ি যত শেভ করবেন তত বেশি ঘন হবে দাড়ি। এও অনেকের ধারণা। আমাদের কেশবৃনত্মগুলোর আকার আয়তন চুলের ঘনভাব ও সংযুক্তি নির্ণয় করে লোম বা চুল মনে হতে পারে কর্কশ। তবে শেভ করলে কেশবৃনত্ম পরিবর্তন হয় না। তাই বার বার শেভ করলে ঘন হবে কেন দাড়ি?
য় মানুষের যৌন জীবনের তুঙ্গ আঠারাতে। মিথ্যে নয়। অনত্মত পুংহরমোন টেসস্টোটেরন তুঙ্গে থাকে আঠারোতে। হরমোনের সঙ্গে পারফরম্যান্সের সম্পর্ক সব সময় থাকে না। ব্যথা না হলে, আঘাত না পেলে লাভ কি ব্যায়ামে। এও ঠিক না। ব্যথা থেকে কি লাভ হয়? বরং ব্যথা পাওয়া পর্যন্ত ব্যায়াম চালাতে থাকলে আহত হবার শঙ্কা বেশি।
য় পুরম্নষ বেশি মরে প্রোস্টেট ক্যান্সারে অন্য ক্যান্সারের তুলনায়। এটিও নিহায়ত কল্পকথা। আমেরিকার কথা বললে পুরম্নষ ও নারীর মধ্যে ক্যান্সারে মৃতু্যর কারণ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সার। প্রোস্টেট ক্যান্সার পুরম্নষের ঘাতক হিসেবে এসব স্থান দ্বিতীয়। ৩৬ জনের মধ্যে ১ জনের এমন ক্যান্সারের সম্ভাবনা।
য় পুরম্নষ বেশি মরে প্রোস্টেট ক্যান্সারে অন্য ক্যান্সারের তুলনায়। এটিও নিহায়ত কল্পকথা। আমেরিকার কথা বললে পুরম্নষ ও নারীর মধ্যে ক্যান্সারে মৃতু্যর কারণ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সার। প্রোস্টেট ক্যান্সার পুরম্নষের ঘাতক হিসেবে এসব স্থান দ্বিতীয়। ৩৬ জনের মধ্যে ১ জনের এমন ক্যান্সারের সম্ভাবনা।
য় পুরম্নষের সত্মন ক্যান্সার হয় না একথা ঠিক নয় তবে খুবই বিরল। জীবনে ঝুঁকি ১০০০ জনের মধ্যে ১ জন।
য় পুরম্নষের অস্থি ফোপরা হয় না তা ঠিক নয়। অস্টিওপরসিস পুরম্নষেরও সমস্যা হতে পারে।
য় পুরম্নষের অস্থি ফোপরা হয় না তা ঠিক নয়। অস্টিওপরসিস পুরম্নষেরও সমস্যা হতে পারে।
য় অস্টিওপরসিস রোগে দেহ কঙ্কাল দুর্বল হয়ে যায়, হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি যায় বেড়ে, পুরম্নষের দেহ কঙ্কাল বড় হওয়ার জন্য এবং যেহেতু নারীর মতো ঋতুবন্ধের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না তাই আকস্মিক হরমোন মানে পরিবর্তন ও হাড়ের ৰয় যা মহিলাদের হয়, তা ঘটে না পুরম্নষের ৰেত্রে। তবে গড় আয়ু বাড়ার জন্য পুরম্নষের ঝুঁকি তো বাড়ে কারও কারও বয়স, মদ্যপান, কমমাত্রা টেসস্টোটেরন, স্টেরয়েড ওষুধ। নিস্ফলতা এসব ঝুঁকি তো রয়েছেই।
তরল মদ বিয়ার পানে যে ‘বিয়ার বেলি’ হয় তা সত্য।
তরল মদ বিয়ার পানে যে ‘বিয়ার বেলি’ হয় তা সত্য।
দইববৎ নবষষু্থ সত্য কথা।
যে কোন উৎস হোক, ক্যালোরি বাড়তি হলেই তলপেটে মেদ বাড়ে এবং তরল মদ বিয়ার থেকে বাড়তি ক্যালোরি কোমরের বেড় বাড়ায়। আর বিয়ার পান করে ক্যালোরি বাড়তি গ্রহণ সহজেই করা যায়।
যে কোন উৎস হোক, ক্যালোরি বাড়তি হলেই তলপেটে মেদ বাড়ে এবং তরল মদ বিয়ার থেকে বাড়তি ক্যালোরি কোমরের বেড় বাড়ায়। আর বিয়ার পান করে ক্যালোরি বাড়তি গ্রহণ সহজেই করা যায়।
য় গ্রিল করা মাংসে এমন পদার্থ আছে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গ্রিল করা মাংসে দু’ধরনের সম্ভাব্য ক্যার্সিনোজেন থাকতে পারে। একটির ধরন হলো পলিসাইক্লিক এ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন, পিএএইচ; যা ধোঁয়া ও আগুনের শিখায় থাকতে পারে। পিএএইচ এরপর মাংসের গায়ে লেগে থাকে। অন্য ধরনটি হলো হেটিবোসাইক্লিক এমাইনস এইচসিএ। এ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করে মাংসের সঙ্গে গ্রিলের সরাসরি সংস্পর্শ এড়ানো যায়।
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বারডেম, ঢাকা।
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বারডেম, ঢাকা।
হাইড্রোসিল
টেস্টিস বা অ-কোষ হচ্ছে পুরুষ প্রজনন অঙ্গ। এখানেই স্পার্ম বা শুক্রানু তৈরি হয় এবং এই স্পার্ম বা শুক্রানুর মেয়েদের ডিম্বানুর মিলনের ফলে সস্তানের জন্ম হয়। এ টেস্টিসের সংখ্যা দুটি। এর জন্ম পেটের ভেতর টেস্টিসদ্বয় শিশুর মায়ের পেটে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে নামতে থাকে এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বেই অ-কোষ (ক্রটাম) থলিতে অবস্থান নেয়।
টেস্টিসের বিভিন্ন প্রকার রোগ হয়।
টেস্টিস বা অ-কোষ হচ্ছে পুরুষ প্রজনন অঙ্গ। এখানেই স্পার্ম বা শুক্রানু তৈরি হয় এবং এই স্পার্ম বা শুক্রানুর মেয়েদের ডিম্বানুর মিলনের ফলে সস্তানের জন্ম হয়। এ টেস্টিসের সংখ্যা দুটি। এর জন্ম পেটের ভেতর টেস্টিসদ্বয় শিশুর মায়ের পেটে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে নামতে থাকে এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বেই অ-কোষ (ক্রটাম) থলিতে অবস্থান নেয়।
টেস্টিসের বিভিন্ন প্রকার রোগ হয়।
হাইড্রোসিল কিঃ
টেস্টিস বা অ-কোষের দুই আবরণের মাঝে পানি জমলে তাকে হাইড্রোসিল বলে। বিভিন্ন কারণে হাইড্রোসিল হতে পারে। যেমনঃ
১। জন্মগত হাইড্রোসিল।
২। টেস্টিসের ইনফেকশনের জন্য হতে পারে।
৩। গোদরোগ বা ফাইলারিয়াসিস।
৪। টেস্টিসের টিউমার থাকলেও তার কারণে হাইড্রোসিল হতে পারে।
টেস্টিস বা অ-কোষের দুই আবরণের মাঝে পানি জমলে তাকে হাইড্রোসিল বলে। বিভিন্ন কারণে হাইড্রোসিল হতে পারে। যেমনঃ
১। জন্মগত হাইড্রোসিল।
২। টেস্টিসের ইনফেকশনের জন্য হতে পারে।
৩। গোদরোগ বা ফাইলারিয়াসিস।
৪। টেস্টিসের টিউমার থাকলেও তার কারণে হাইড্রোসিল হতে পারে।
১। জন্মগত হাইড্রোসিল ঃ
শিশুর জন্মের সময় থেকে টেস্টিসের ফোল নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। এ হাইড্রোসিলের সঙ্গে হারনিয়াও থাকে। ধীরে ধীরে হাইড্রোসিল বড় হতে থাকে। পেটের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে বলে শুয়ে থাকলে অদৃশ্য হয়ে যায়। এ হাইড্রোসিল চিকিৎসা করা অত্যনত্ম জরম্নরী কারণ এর সঙ্গে হার্নিয়ার সংযোগ থাকে।
শিশুর জন্মের সময় থেকে টেস্টিসের ফোল নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। এ হাইড্রোসিলের সঙ্গে হারনিয়াও থাকে। ধীরে ধীরে হাইড্রোসিল বড় হতে থাকে। পেটের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে বলে শুয়ে থাকলে অদৃশ্য হয়ে যায়। এ হাইড্রোসিল চিকিৎসা করা অত্যনত্ম জরম্নরী কারণ এর সঙ্গে হার্নিয়ার সংযোগ থাকে।
২। ইনফেকশনের জন্য হাইড্রোসিল:
টেস্টিসের ইনফেকশন হলে এটাকে ইপিডিডাইমো অরকাইটিস বলে। এ ইনফেকশন সাধারণত যৌনবাহিত রোগ। এ জন্য যুবক বয়সেই এই হাইড্রোসিল দেখা যায়। টেস্টিসে প্রচ- ব্যথা ও ফুলে যায় সঙ্গে বেশ জ্্বর ও ব্যথা থাকে। টেস্টিসে এত ব্যথা হয় যে রোগী স্বাভাবিক চলা ফেরা করতে পারে না। সাধারণত প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া থাকে। এন্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ওষুধ ও বিশ্রাম এু রোগের জন্য অত্যনত্ম জরম্নরী। সময় মতো চিকিৎসা না হলে টেস্টিসে ফোড়া হয়ে যেতে পারে।
টেস্টিসের ইনফেকশন হলে এটাকে ইপিডিডাইমো অরকাইটিস বলে। এ ইনফেকশন সাধারণত যৌনবাহিত রোগ। এ জন্য যুবক বয়সেই এই হাইড্রোসিল দেখা যায়। টেস্টিসে প্রচ- ব্যথা ও ফুলে যায় সঙ্গে বেশ জ্্বর ও ব্যথা থাকে। টেস্টিসে এত ব্যথা হয় যে রোগী স্বাভাবিক চলা ফেরা করতে পারে না। সাধারণত প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া থাকে। এন্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক ওষুধ ও বিশ্রাম এু রোগের জন্য অত্যনত্ম জরম্নরী। সময় মতো চিকিৎসা না হলে টেস্টিসে ফোড়া হয়ে যেতে পারে।
৩। টিউমারের জন্য হাইড্রোসিল ঃ
এ ধরনের হাইড্রোসিল অত্যনত্ম ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এ ধরনের হাইড্রোসিল রোগীর কোন প্রকার কষ্ট হয় না। শুধু টেস্টিসের ফোলা আর কিছু নয়।
এ ধরনের হাইড্রোসিল অত্যনত্ম ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এ ধরনের হাইড্রোসিল রোগীর কোন প্রকার কষ্ট হয় না। শুধু টেস্টিসের ফোলা আর কিছু নয়।
৪। হাইড্রোসিল হলে কি জটিলতা হতে পারে:
ক) হাইড্রোসিল বড় হয়ে চলাফেরায় অসুবিধা হতে পারে।
খ) দৈহিক মিলনে প্রতিবন্ধকতার/ বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
গ) ক্যান্সারের কারণে হাইড্রোসিল হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে।
ঘ) জন্মগত হাইড্রোসিলের হারনিয়াও থাকে। সেই ৰেত্রে হারনিয়ার জন্য মৃতু্যর ঝুঁকি হতে পারে।
ঙ) ইনফেকশনের কারণে হাইড্রোসিল হলে টেস্টিসে পুঁজ জমতে পারে এবং
চ) প্রজনন ৰমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অতএব, এ ধরনের সমস্যা হলেই অভিজ্ঞ সার্জনকে দেখিয়ে সঠিক চিকিৎসা নিন।
ক) হাইড্রোসিল বড় হয়ে চলাফেরায় অসুবিধা হতে পারে।
খ) দৈহিক মিলনে প্রতিবন্ধকতার/ বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
গ) ক্যান্সারের কারণে হাইড্রোসিল হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে।
ঘ) জন্মগত হাইড্রোসিলের হারনিয়াও থাকে। সেই ৰেত্রে হারনিয়ার জন্য মৃতু্যর ঝুঁকি হতে পারে।
ঙ) ইনফেকশনের কারণে হাইড্রোসিল হলে টেস্টিসে পুঁজ জমতে পারে এবং
চ) প্রজনন ৰমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অতএব, এ ধরনের সমস্যা হলেই অভিজ্ঞ সার্জনকে দেখিয়ে সঠিক চিকিৎসা নিন।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment