Total Pageviews

Saturday, November 26, 2011

চিকিৎসাবিজ্ঞানের সেরা ১৩ আবিষ্কার

ব্লাড গ্রুপ না জানা থাকলে চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব
: কখনো কি ভেবেছেন, এখন পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার কোনগুলো? অথবা বিজ্ঞানীদের কোন কোন উদ্ভাবন আমাদেরকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সহায়তা করছে?
হঠাৎই একদিন মনে হলো বিজ্ঞানীরা আমাদের জন্য কতকিছুই না করছেন৷ তাদের একের পর এক আবিষ্কার আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলছে৷ সেটা বিজ্ঞানের সব শাখার ক্ষেত্রেই সত্য৷ তবে আজ আমরা জানবো চিকিৎসাবিজ্ঞান সম্পর্কে৷ এ বিষয়ে তথ্যের জন্য সাহায্য নেই বিজ্ঞানীদের আরেক বিস্ময়কর আবিষ্কার ইন্টারনেটের৷

সেখানে অ্যামেরিকান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘ডিসকভারি কমিউনিকেশনস’র বিজ্ঞান বিষয়ক চ্যানেল ‘সায়েন্স’র করা একটি তালিকা খুঁজে পেলাম৷ তারা বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০০টি আবিষ্কারের একটা তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছে৷ এর মধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের রয়েছে ১৩টি৷

প্রথমে এসেছে অ্যানাটমি বা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাটাছেঁড়ার বিষয়টি৷ অ্যানাটমির জনক আন্দ্রেয়াস ভেসিলাস ১৫৩৮ সালে প্রথমবারের মতো মরদেহ কেটে ভিতরে কোন্ জিনিস কী অবস্থায় আছে সেটা জানার চেষ্টা করেছিলেন৷ কেননা তার মনে হয়েছিল সঠিকভাবে সার্জারি করার জন্য বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন৷

এরপর এসেছে রক্ত সঞ্চালনের বিষয়৷ অ্যানাটমি আবিষ্কারের প্রায় ৯০ বছর পর উইলিয়াম হার্ভে এ ব্যাপারটি সবার সামনে নিয়ে আসেন৷ তিনি বলেন, মানুষের হৃদপিণ্ড সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে থাকে৷

রক্তের যে বিভিন্ন গ্রুপ হতে পারে সেটা প্রথম জানান অস্ট্রিয়ার দুই জীববিজ্ঞানী, ১৯০২ সালে৷ তাদের কারণে ব্লাড ট্রান্সফিউশনের বিষয়টি এখন অনেক নিরাপদ৷

ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে জানার আগেই অবশ্য বিজ্ঞানীরা অ্যানেস্থেশিয়া বিষয়টি জেনে গিয়েছিলেন৷ ১৮৪২ থেকে ১৮৪৬ এই চার বছরের মধ্যেই অনেক বিজ্ঞানী বের করেন যে, কিছু কিছু কেমিক্যালের কারণে রোগীকে ব্যথা দেয়া ছাড়াই সার্জারি করা সম্ভব৷

জার্মান বিজ্ঞানী ভিল্মহেল্ম রোয়ন্টগেন ১৮৯৫ সালে এক্স-রে আবিষ্কার করেন৷ এর ফলে শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞান নয়, লাভবান হয়েছে পদার্থবিদ্যাও৷ ফলে পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম নোবেল পুরস্কারটি পেয়েছেন রোয়্যান্টগেন৷

লুই পাস্তুরের কথা আমরা অনেকেই জানি৷ তাকে বলা হয় ব্যাকটেরিওলজির জনক৷ কারণ ১৮শ’ শতকের দিকে যখন কলেরা, অ্যানথ্রাক্স এসব রোগের উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন পাস্তুরই আবিষ্কার করেন যে, কিছু কিছু মাইক্রোবের কারণে এসব রোগ হয়ে থাকে৷ এসব মাইক্রোব বা জীবাণুর নাম তিনি দেন ব্যাকটেরিয়া৷

ব্যাকটেরিয়া যেমন রোগের কারণ তেমনি পুষ্টিকর খাবারের অভাবেও রোগ হতে পারে৷ ১৯ শতকের প্রথম দিকে এই তত্ত্ব নিয়ে আসেন ফ্রেডেরিক হপকিন্স৷ পরবর্তীতে খাবারের এই সব উপাদানের নাম দেয়া হয় ভিটামিন৷

তালিকায় এরপর এসেছে পেনিসিলিনের নাম৷ আলেকজাণ্ডার ফ্লেমিং এটি আবিষ্কার করেন৷ পরে হাওয়ার্ড ফ্লোরে এবং বরিস চেইন পেনিসিলিন নিয়ে আরও গবেষণা করেন৷ এর এক পর্যায়ে তারা দেখতে পান ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত ইঁদুরকে পেনিসিলিন দিয়ে সারিয়ে তোলা যাচ্ছে৷

১৯৩০ এর দশকে গেরহার্ড ডোমাক’র আবিষ্কার ‘সালফা ড্রাগস’ও ব্যাকটিরায়জনিত রোগ নিরাময়ে কাজ করে৷

ইংরেজ চিকিৎসক এডওয়ার্ড জেনার ১৭৯৬ সালে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেন৷ ১৭৮৮ সালে ব্রিটেনের বিভিন্ন গ্রামে মহামারি আকারে গুটিবসন্ত ছড়িয়ে পড়লে সেটা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন জেনার৷ এর ফলশ্রুতিতেই পরবর্তীতে তিনি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সমর্থ হন৷

ডায়াবেটিস রোগীদের জীবন অনেকটা সহজ করে দিয়েছে ইনসুলিন৷ রক্তে সুগার বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে এই হরমোন৷ ১৯২০ এর দশকে ইনসুলিনের আগমনের আগে ডায়াবেটিস রোগ মানেই মনে করা হতো ধীরে ধীরে রোগীর নিশ্চিত মৃত্যু৷

হ্যারল্ড ভার্মুস এবং মাইকেল বিশপ ১৯৭৫ সালে অঙ্কোজিনের সন্ধান দেন৷ এটা এমন এক জিন, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে৷

সবশেষে এসেছে এইডস রোগের কারণ এইচআইভি ভাইরাসের আবিষ্কার৷ একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই বিজ্ঞানী  রবার্ট গেলো এবং লুক মন্টাজনিয়ের ১৯৮০’র দশকে এই ভাইরাসের সন্ধান দিয়েছিলেন৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।

বার্তা২৪ ডটনেট/এসএফ

0 মন্তব্য(সমূহ):

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Facebook Themes