পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বারডেম হাসপাতাল, সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট-এ। দেখা গেছে, নিষ্ক্রিয় লোক, ঘরে বসে থাকা যাঁদের অভ্যেস, তাঁরা যদি প্রতিদিন ১৫ মিনিট মাত্র ব্যায়াম করেন, তাহলে মৃত্যুঝুঁকি কমে ১৪% এবং প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে যায় তিন বছর। নিষ্ক্রিয় লোক এবং সক্রিয় লোক যাঁরা নানা কাজে, নানা শরীরচর্চায় বা শ্রমের কাজে নিয়োজিত—এই দুই দলের মধ্যে তুলনা করে এমন ফল এসেছে।
অনেক স্বাস্থ্য সংস্থা, যেমন—বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শরীরচর্চার হিতকরী ফলকে স্বীকার করেছেন এবং হপ্তায় ১৫০ মিনিট মাঝারি ব্যায়ামের পরামর্শও দিয়েছেন। তবে এই পরামর্শের চেয়ে কম সময় ব্যায়াম করলে গড় আয়ুর ওপর কী প্রভাব পড়ে, তা অস্পষ্ট।
তাইওয়ান ও চীন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ন্যাশনাল হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডা. চিপাংওয়েন এবং ন্যাশনাল তাইওয়ান স্পোর্ট ইউনিভার্সিটির ড. জ্যাকসন পুই মানউই ও সহকর্মীরা নানা মানের শরীরচর্চার স্বাস্থ্য হিতকরী ফল যাচাই করে দেখেছেন।
এরই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন চার লাখের বেশি মানুষ, যাঁরা তাইওয়ানে ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মেডিকেল স্ক্রিনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এঁদের ফলোআপ করা হলো গড়ে আট বছর। এঁরা প্রতি হপ্তায় যা শরীরচর্চা করেন বলে নিজেরা বললেন, এই তথ্যসূত্র ধরে তাঁদের ব্যায়ামের মানের পাঁচটি ধাপে ভাগ করা হলো: নিষ্ক্রিয়, কম শরীরচর্চা, মাঝারি শরীরচর্চা, উঁচু মান ও অতি উঁচু মানের শরীরচর্চা। নিষ্ক্রিয় গ্রুপের সঙ্গে প্রতিটি গ্রুপের তুলনা করে বিপর্যয় অনুপাত গণনা করা হলো, প্রতি দলের প্রত্যাশিত গড় আয়ুও গণনা করা হলো।
কম মান শরীরচর্চাতেও বেশ ফল
নিষ্ক্রিয় যাঁরা, একেবারেই ব্যায়াম করেন না, এঁদের সঙ্গে যাঁরা কম শরীরচর্চা করেন তুলনা করলে, অর্থাৎ যাঁরা হপ্তায় মাত্র ৯২ মিনিট ব্যায়াম করেছেন (দিনে মাত্র ১৫ মিনিট) এদের মৃত্যুঝুঁকি কমে ১৪%, ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি কমে ১০%, প্রত্যাশিত গড় আয়ু বাড়ে তিন বছর। প্রতিদিন ন্যূনতম ১৫ মিনিট শরীরচর্চাকালের চেয়ে বাড়তি আরও ১৫ মিনিট বেশি শরীরচর্চা করলে মৃত্যুঝুঁকি আরও ৪% কমে, ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি কমে আরও ১%। সব বয়স ও জেন্ডারে এটি প্রযোজ্য। যাঁদের হূদেরাগের ঝুঁকি, তাঁদের জন্যও।
তুলনামূলকভাবে নিষ্ক্রিয় লোকদের মৃত্যুঝুঁকি কম শরীরচর্চা লোকদের চেয়ে ১৭% বেশি। গবেষকদের মন্তব্য: ‘সামান্য যে পরিমাণ ব্যায়ামের পরামর্শ আমরা দিচ্ছি, তা মেনে চললেও হূদেরাগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারে মৃত্যুহার তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস করা সম্ভব। ‘কম মাত্রা শরীরচর্চা’ ও অসংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে, কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করবে, কমে যাবে চিকিৎসাগত ব্যয় ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বৈষম্য।’
মন্ট্রিয়াল হার্ট ইনস্টিটিউটের ও কুইবেক, কানাডার ইউনিভার্সিটি দ্য মন্ট্রিয়ালের ডা. অনিল নিগাম ও মার্টিন জুনাউ বললেন, ‘সপ্তাহের প্রায় প্রতিটি দিন মাত্র ১৫ মিনিট শরীরচর্চা করলে যে মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব, এই তথ্যটি অনেককে তাঁদের ব্যস্ত জীবনে সামান্য সময়ের শরীরচর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করবে।’ সরকার ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের দায়িত্ব হলো এই সংবাদ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সামান্য হলেও শরীরচর্চা করা, সক্রিয় জীবন যাপন করতে জনগণকে বোঝানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রয়েছে এঁদের। এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট, সামান্য পরিমাণ শরীরচর্চাও ভালো, বেশি করলে আরও ভালো।
গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট-এ। দেখা গেছে, নিষ্ক্রিয় লোক, ঘরে বসে থাকা যাঁদের অভ্যেস, তাঁরা যদি প্রতিদিন ১৫ মিনিট মাত্র ব্যায়াম করেন, তাহলে মৃত্যুঝুঁকি কমে ১৪% এবং প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে যায় তিন বছর। নিষ্ক্রিয় লোক এবং সক্রিয় লোক যাঁরা নানা কাজে, নানা শরীরচর্চায় বা শ্রমের কাজে নিয়োজিত—এই দুই দলের মধ্যে তুলনা করে এমন ফল এসেছে।
অনেক স্বাস্থ্য সংস্থা, যেমন—বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শরীরচর্চার হিতকরী ফলকে স্বীকার করেছেন এবং হপ্তায় ১৫০ মিনিট মাঝারি ব্যায়ামের পরামর্শও দিয়েছেন। তবে এই পরামর্শের চেয়ে কম সময় ব্যায়াম করলে গড় আয়ুর ওপর কী প্রভাব পড়ে, তা অস্পষ্ট।
তাইওয়ান ও চীন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ন্যাশনাল হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডা. চিপাংওয়েন এবং ন্যাশনাল তাইওয়ান স্পোর্ট ইউনিভার্সিটির ড. জ্যাকসন পুই মানউই ও সহকর্মীরা নানা মানের শরীরচর্চার স্বাস্থ্য হিতকরী ফল যাচাই করে দেখেছেন।
এরই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন চার লাখের বেশি মানুষ, যাঁরা তাইওয়ানে ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মেডিকেল স্ক্রিনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এঁদের ফলোআপ করা হলো গড়ে আট বছর। এঁরা প্রতি হপ্তায় যা শরীরচর্চা করেন বলে নিজেরা বললেন, এই তথ্যসূত্র ধরে তাঁদের ব্যায়ামের মানের পাঁচটি ধাপে ভাগ করা হলো: নিষ্ক্রিয়, কম শরীরচর্চা, মাঝারি শরীরচর্চা, উঁচু মান ও অতি উঁচু মানের শরীরচর্চা। নিষ্ক্রিয় গ্রুপের সঙ্গে প্রতিটি গ্রুপের তুলনা করে বিপর্যয় অনুপাত গণনা করা হলো, প্রতি দলের প্রত্যাশিত গড় আয়ুও গণনা করা হলো।
কম মান শরীরচর্চাতেও বেশ ফল
নিষ্ক্রিয় যাঁরা, একেবারেই ব্যায়াম করেন না, এঁদের সঙ্গে যাঁরা কম শরীরচর্চা করেন তুলনা করলে, অর্থাৎ যাঁরা হপ্তায় মাত্র ৯২ মিনিট ব্যায়াম করেছেন (দিনে মাত্র ১৫ মিনিট) এদের মৃত্যুঝুঁকি কমে ১৪%, ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি কমে ১০%, প্রত্যাশিত গড় আয়ু বাড়ে তিন বছর। প্রতিদিন ন্যূনতম ১৫ মিনিট শরীরচর্চাকালের চেয়ে বাড়তি আরও ১৫ মিনিট বেশি শরীরচর্চা করলে মৃত্যুঝুঁকি আরও ৪% কমে, ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি কমে আরও ১%। সব বয়স ও জেন্ডারে এটি প্রযোজ্য। যাঁদের হূদেরাগের ঝুঁকি, তাঁদের জন্যও।
তুলনামূলকভাবে নিষ্ক্রিয় লোকদের মৃত্যুঝুঁকি কম শরীরচর্চা লোকদের চেয়ে ১৭% বেশি। গবেষকদের মন্তব্য: ‘সামান্য যে পরিমাণ ব্যায়ামের পরামর্শ আমরা দিচ্ছি, তা মেনে চললেও হূদেরাগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারে মৃত্যুহার তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস করা সম্ভব। ‘কম মাত্রা শরীরচর্চা’ ও অসংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে, কেন্দ্রীয় ভূমিকা গ্রহণ করবে, কমে যাবে চিকিৎসাগত ব্যয় ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বৈষম্য।’
মন্ট্রিয়াল হার্ট ইনস্টিটিউটের ও কুইবেক, কানাডার ইউনিভার্সিটি দ্য মন্ট্রিয়ালের ডা. অনিল নিগাম ও মার্টিন জুনাউ বললেন, ‘সপ্তাহের প্রায় প্রতিটি দিন মাত্র ১৫ মিনিট শরীরচর্চা করলে যে মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব, এই তথ্যটি অনেককে তাঁদের ব্যস্ত জীবনে সামান্য সময়ের শরীরচর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করবে।’ সরকার ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের দায়িত্ব হলো এই সংবাদ জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সামান্য হলেও শরীরচর্চা করা, সক্রিয় জীবন যাপন করতে জনগণকে বোঝানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রয়েছে এঁদের। এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট, সামান্য পরিমাণ শরীরচর্চাও ভালো, বেশি করলে আরও ভালো।
1 মন্তব্য(সমূহ):
good post.I have a photoblog on bangladesh
visit http://focus-bd.blogspot.com
Post a Comment